নয়াদিল্লি: গাড়িতে একা থাকলেও মাস্ক পরা হবে আবশ্যক হল দিল্লিতে৷ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে এই নির্দেশ দিল দিল্লির উচ্চ আদালত৷ বুধবার এই নির্দেশ দিতে গিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, যেখানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করা থাকবে, সেখানে একটা গাড়িকেও পাবলিক প্লেস হিসেবে বিবেচনা করতে হবে ৷ আদালতের মতে, মাস্ক হচ্ছে একটা সুরক্ষা কবচ৷ যা একজন তাঁর নিজের জন্য এবং তাঁর চারপাশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পরবেন।
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, করোনা নামক অতিমারির জন্য ব্যক্তিগত গাড়িতেও এক বা একাধিক ব্যক্তি থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কারণ বিচারপতির দাবি, গাড়িতে একা থাকলেও, যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, সেটি হল জনসাধারণের এলাকা। গাড়িতে একা থাকলেও কেন মাস্ক পরতে হবে, এই বিষয়টিও ওই নির্দেশে স্পষ্ট করেছে দিল্লি হাইকোর্ট৷ আদালতের মতে, যখন কোনও গাড়ি ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ায়, তখন অনেক সময় চালক জানলা খোলেন ৷ যেহেতু করোনা ভাইরাস সংক্রামক, তাই সেসময় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন৷
প্রসঙ্গত, এক ব্যক্তি একা গাড়িতে চালাচ্ছিলেন৷ তিনি মাস্ক না পরায় তাঁকে জরিমানা করা হয় ৷ তিনি বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন৷ এই বিষয়ে মোট তিনজন মামলা করেন ৷ তার মধ্যে একজন আইনজীবী সৌরভ শর্মা ৷ তাঁকেও মাস্ক না পরায় ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল ৷ সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি প্রতিভা এম সিং ৷ তিনি বলেন, ‘যদি আপনি একাই গাড়িতে থাকেন, তাহলেও মাস্ক পরতে আপত্তি করছেন কেন ? এটা তো আপনার নিজের সুরক্ষার জন্য৷ করোনায় সংকট বেড়ে গিয়েছে ৷ কোনও ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক না হোক, তাঁর মাস্ক পরা উচিত৷’
সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী এবং সরকারের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি জানান যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুরক্ষিত থাকতে এটা অন্তত করা যেতেই পারে৷ উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিলেই মাস্ক সংক্রান্ত একটি নিয়ম তৈরি করেছিল কেজরিওয়াল সরকার৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, গণপরিবহণ হোক বা ব্যক্তিগত গাড়ি, মাস্ক পরতেই হবে যাত্রী ও চালককে৷ কিন্তু আবেদনকারীদের দাবি, ওই একই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে গাড়িতে একা থাকলে মাস্ক পরার দরকার নেই৷ তাই তাঁরা মামলা করেছেন ৷ আর এই মানসিক হেনস্তার জন্য তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন৷