নয়াদিল্লি: করোনা আবহের প্রথম দিকে স্যানেটাইজার ও মাস্কের ব্যাপক কালোবাজারির অভিযোগ উঠে এসেছিল৷ সারা দেশজুড়ে তুঙ্গে উঠেছিল মাস্ক ও স্যানটাইজারের আকাল৷ সেই সময় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় আনা হয়েছিল মাস্ক ও স্যানেটাইজার৷ তার জেরে কালোবাজারি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল৷ পাশাপাশি দামও ছিল সাধ্যের মধ্যে৷ কিন্তু সেই মাস্ক ও স্যানেটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের থেকে সরিয়ে দিল কেন্দ্র৷ যার জেরে ফের মাস্ক ও স্যানেটাইজারের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় ক্রেতা ও সুরক্ষা মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা সংশোধন করে দুই এবং তিন লেয়ারের মাস্ক ও এন ৯৫ মাস্ককে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় আনা হয়েছিল৷ জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর ছিল৷ কিন্তু জুন মাসের পর থেকে এগুলি আর অত্যাহশ্যকীয় পণ্যের আওতায় নেই৷
প্রথমদিকে সব দোকানে মাস্ক ও স্যানেটাইজার পাওয়া যাচ্ছিল না৷ কিছু কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও তার দাম ছিল অনেক৷ ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ কালোবাজারি রুখতে জরুরি ভিত্তিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা সংশোধন করা হয়৷ সেক্ষেত্রে মজুতদারি এবং কালোবাজারি অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ করা সম্ভব হয়৷ রামবিলাশ পাসওয়ান জানিয়েছেন, এখন বাজারে মাস্ক ও স্যানেটাইজার উপযুক্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে৷ তাই এগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাইরে রাখা হচ্ছে৷ তবে এই সুযোগে ফের মাস্ক ও স্যানেটাইজারের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷