নয়াদিল্লি:দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারতে তৈরি হতে শুরু করেছে মাস্ক ও পিপিই। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ভারতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লক্ষ পিপিই ও মাস্ক তৈরি হয়। এবার সেই মাস্ক ও পিপিই নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ মাস্ক ও ৯৫২টি পিপিই কিট পাচার করা হচ্ছিল চিনে। এরই সাথে ছিল কিট তৈরির উপকরণ, স্যানিটাইজার।
ভারতে এখনও পিপিই কিট ও মাস্কের অভাব মেটেনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিপিই কিটের অভাবে ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসত। ডাক্তারদের পিপিই না পাওয়ার ক্ষোভ এখন একটু প্রশমিত হয়েছে। ১৯ মার্চ ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড ভেন্টিলেটর, সার্জিক্যাল সামগ্রী, মাস্ক, পিপিই কিটের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এছাড়াও ৭ এপ্রিল অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালান। ৫.০৮ লক্ষ মাস্ক, ৯৫০টি বোতলে ৫৭ লিটার স্যানিটাইজার, ৯৫২টি পিপিই কিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া বাজেয়াপ্ত করা হয় মাস্ক তৈরির জন্য ব্যবহৃত ২,৪৮০ কেজির কাঁচামাল।