নয়াদিল্লি: নেতাজি জয়ন্তী হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, জানুয়ারি মাস জুড়ে দেশাত্মবোধক দিন গুলির সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতিবারের মতো এবছরও দিনগুলি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করতে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা অতিমারীর আবহে হয়তো উৎসবের আতিশয্যে খানিক কোপ পড়েছে, কিন্তু দেশাত্মবোধক আমেজে ঘাটতি পড়ে নি। নেতাজির জন্মদিন, প্রজাতন্ত্র দিবস পেরিয়ে মাসের শেষে শহীদ দিবস পালন নিয়েও এবার বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশ জুড়ে পালিত হবে ২ মিনিটের নীরবতা, এদিন এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে প্রতিটি রাজ্য তথা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধানকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশ পত্র পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “৩০ তারিখ সকাল ১১টায় দেশ জুড়ে ২ মিনিটের জন্য সমস্ত কাজ বন্ধ করে নীরবতা পালন করতে হবে।”
মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ হয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রের নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, ওই দিন যেখানে যেখানে সম্ভব, সেখানে শহীদদের স্মরণে ২ মিনিট ধরে বাজাতে হবে সাইরেন অথবা আর্মি গান (Army Gun)। সকাল ১০:৫৯ মিনিট থেকে সাইরেন বাজানো শুরু করতে হবে। দেশ জুড়ে একই সময়ে যাতে সাইরেন বেজে ওঠে, সেই কারণেই এই নির্দেশিকা।
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, সাইরেনের শব্দ শুনলে দেশের নাগরিকদের উঠে দাঁড়াতে হবে। দেশের যে কোনো প্রান্তের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে। দেশ জুড়ে যাতে যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ দিবস পালিত হয়, প্রতিটি নাগরিক যাতে এই ২ মিনিট শহীদদের সম্মান জানায়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে রাজ্য গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, “সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকার তাদের এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্যান্য সংগঠনকে শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ নির্দেশিকা দেবে। ওই দিন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বন্ধে নানা আলোচনা সভা এবং বক্তৃতার আয়োজন করা হবে। অনলাইন কিংবা অফলাইন দুই মাধ্যমেই এগুলির আয়োজন করা যাবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বছর ভারতের স্বাধীনতার ৭৪ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করছে কেন্দ্র। শহীদ দিবসের নির্দেশিকাও সেই তালিকার নবতম সংযোজন।