রাঁচি: মহারাষ্ট্র এবং ছত্রিশগড় তার মাথার দাম রেখেছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ঝাড়খণ্ডে তার মাথার দাম ছিল ১ কোটি! মোটা টাকা মাথার দাম রাখা হয়েছিল তার স্ত্রীরও। সেই কুখ্যাত মাওবাদী বাঙালি নেতা প্রশান্ত বসু ধরা পড়লেন পুলিশের জালে। ঝাড়খণ্ডে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ‘কিষাণদা’, সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শিলা মারান্ডিও। লালগড় আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন এই বাঙালি মাওবাদী।
বিগত কয়েক বছর ধরে এই মাওবাদী নেতাকে খুঁজছিল একাধিক রাজ্যের পুলিশ। অবশেষে ধরা পড়লেন তিনি। আপাতত তাকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী শিলাও। ঝাড়খণ্ড পুলিশের স্পেশাল অপারেশন টিম তাকে গ্রেফতার করেছে। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন পিডবলুজি এবং এমসিসি জুড়ে সিপিআই (মাওইস্ট) তৈরি হয় তখন নতুন দলের দলিল তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা ছিল তার। এক সময়ে এমসিসি’র সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত মাওবাদীদের ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরোর দায়িত্বে ছিলেন কিষাণদা। তার স্ত্রী শিলা মারান্ডি নিজে কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী। এর আগে তিনি ৬ বছরের জন্য জেলে ছিলেন। আগে প্রশান্ত বসু কলকাতার যাদবপুরে থাকতেন। পরে হায়দরাবাদ চলে যান। যুবসমাজের মগজধোলাই করে ক্যাডারদের দলে নেওয়াই ছিল তার কাজ। কুখ্যাত মাওবাদী নেতা কিষাণজির ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি।
এই গ্রেফতারি বড়োসড়ো সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে কারণ এই মাওবাদী নেতার থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে; সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদীরা কোথায়, কী পরিকল্পনা করছে তার ব্যাপারে। সম্প্রতি মাওবাদী নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছিল এবং প্রশান্ত বসুর দায়িত্ব অনেক বেড়ে ছিল। তাই অবশ্যই তাকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।