গ্যাংটক: লাগাতার বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের একাধিক রাস্তায় ধস নামার ঘটনা সামনে এসেছে। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজারের বেশি পর্যটক ওই এলাকায় আটকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। রবিবার চিত্রটা কিছুটা বদলালেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও ৩০০-র বেশি পর্যটক সিকিমে আটকে আছেন। তবে উদ্ধারকাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
শেষ কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টির জন্য একাধিক পাহাড়ি নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে এবং তাতে আরও বেশি ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই উদ্ধারকাজে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। শনিবার অনেককে উদ্ধার করা হয়। আজও চলছে উদ্ধারকাজ, তবে বাকি পর্যটকদের কত ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আপাতত ১০ নং জাতীয় সড়কে ধস নামায় লাচুং, লাচেন, ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে চুংথাংয়ের যাওয়ার রাস্তাও এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। পাহাড়ি রাস্তায় সারে সারে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Bahanaga high school broke | আতঙ্ক বহাল, তাই ভাঙা হচ্ছে প্রাচীন ওড়িশা বালেশ্বরের বাহানগা হাই স্কুল” width=”789″>
উত্তর সিকিম জেলা প্রশাসন দু’টি হেল্পলাইন নম্বর ইতিমধ্যেই চালু করেছে। তা হল ৮৫০৯৮২২৯৯৭ এবং ৮১১৬৪৬৪২৬৫। সিকিম সরকার উদ্ধারকাজের জন্য একাধিক বাস এবং ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করেছেও বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকাজে আরও ১-২ দিন সময় লাগবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া যদি আরও খারাপের পথে যায় তাহলে কাজে গতি কমতে পারে।