নয়াদিল্লি: লোকসভায় গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুর ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করেছেন বটে কিন্তু সেটা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভাষণ দেওয়ার পর। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিরোধী জোট, দলগুলিকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ২০২৪ সালের নির্বাচনে যে বিজেপি সব রেকর্ড ভেঙে আরও বড় জয় পাবে সেই কথাও বলেন। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব হয়েছে কংগ্রেস শিবির। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী ২ ঘণ্টা ভাষণে ২ মিনিট বলেছেন মণিপুরকে নিয়ে। অথচ তাঁর উচিত ছিল এই ইস্যুতেই আলোচনা করা। এক্ষেত্রে তাঁকে চরম নিশানা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের জবাবি বক্তৃতার বড় অংশ জুড়েই ছিল বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ এবং নিজ সরকারের সাফল্য তুলে ধরা। এইসব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মাঝে মাঝে এমন মন্তব্য করেন যাতে গোটা সংসদে হাসির রোল ওঠে। মূলত কংগ্রেস শিবিরকে নিশানা করেই বক্তব্য রাখেন মোদী। এই নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সাফ কথা, মণিপুরে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মহিলারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন আর সংসদে প্রধানমন্ত্রী মশকরায় ব্যস্ত। আলোচনা কংগ্রেস নিয়ে নয়, মণিপুর নিয়ে হওয়া উচিত ছিল।
রাহুল এদিন আরও বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ২ দিনের মধ্যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে মণিপুরের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চান মণিপুর জ্বলুক। মণিপুরে শান্তি ফিরুক তা তিনি চান না। তাঁর কথায়, মণিপুর এখন আর এক রাজ্য নেই। দুই রাজ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মজা, হাসাহাসি করে চলেছেন সংসদে। দেশে কী হচ্ছে ওনার খেয়াল নেই হয়তো। প্রধানমন্ত্রী পদের গুরুত্ব কী, সেটাই তিনি বোঝেন না, তোপ দাগেন তিনি।