ইম্ফল: দিদি মানেই একটা নিরাপদ আশ্রয়৷ দিদির কোলে যেন লেগে থাকে মায়ের পরশ৷ এই মিষ্টিমধুর সম্পর্কের মাঝে থাকে খুনসুটিও৷ তবে সম্পর্কের স্রোতে ভাসতে ভাসতে কখন যেন অভিভাবক হয়ে ওঠে একজন দিদি৷ যত ঝড়ঝাপটাই আসুক না কেন, বোনকে স্নেহের পরশে আগলে রাখে সে৷ তেমনই এক দিদি-বোনের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ তাদের মিষ্টি সম্পর্কের সাক্ষী থাকল মণিপুর৷ ছোট্ট বোনকে কোলে নিয়ে খুদে দিদির নিত্যলড়াই, মন কাড়ল নেটদুনিয়ার।
আরও পড়ুন- ধনকড়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্গারেট আলভা, ইতিমধ্যেই পেয়েছেন শিবসেনার সমর্থন
১০ বছরের মেয়ে মেইনিংসিংলিউ পামেই চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া৷ পরিবারে রয়েছে মা-বাবা আর ২ বছরের ছোট্ট বোন৷ সকাল হতেই চাষের কাজে বেরিয়ে পড়েন বাবা-মা৷ এখন মেইনিং যদি স্কুলে যায়, তাহলে বাড়িতে একাই থাকতে হবে তার ছোট্ট বোনকে৷ কিন্তু, একরত্তি বোনকে এভাবে ফেলে রেখে সে যায় কী করে? তাকে চোখের আড়াল করলেই যে বুক কেঁপে ওঠে মেইনিংয়ের৷ তাই তো এক দারুণ বুদ্ধি আঁটে সে৷ বোনকে কোলে নিয়েই স্কুলের পথে হাঁটা দেয় মেইনিংসিংলিউ। বোনকে কোলে নিয়েই ক্লাসের পড়ায় মনে দেয়৷ ফাঁকে ফাঁকে বোনকে সামলায়৷ বোনকে কোলে ঘুম পাড়িয়েই ক্লাসে নোটস লেখে দশ বছরের এই মেয়ে৷ বোনও মায়ের মতো দিদিকে আকড়ে ধরে কাটিয়ে দেয় সারাটা দিন৷ মেইনিংসিংলিউ-এর এই লড়াইয়ের ছবি পোস্ট হতেই নিমেষে ভাইরাল৷
এই ছবিটি টুইট করেছিলেন মণিপুরের কৃষিমন্ত্রী থোঙনাম বিশ্বজিৎ সিং৷ তিনি মেইনিংসিংলিউয়ের একটি ছবি দিয়ে লিখেন, “পড়াশোনার প্রতি ওর আগ্রহ এবং নিষ্ঠা সত্যিই আমাকে অবাক করেছে।” মন্ত্রীর টুইটেই জানা যায় এই স্নেহময়ী লড়াকু মেয়েটির আসল পরিচয়। বিশ্বজিৎ লিখেছেন, “দশ বছরের এই মেয়েটির নাম মেইনিংসিংলিউ পামেই৷ সে প্রতিদিন স্কুলে আসে বোনকে কোলে নিয়ে। বোনের দেখাশোনাও করে। কারণ তাদের অভিভাবকরা কাজের জন্য বেরিয়ে যান।”
মেইনিংসিংলিউ-এর কাহিনী শোনার পর হতবাক অনেকেই। একইভাবে অবাক শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি ছবিটি টুইট করে লিখেন, “এই ছবিটির মধ্যে একটা শক্তি লুকিয়ে রয়েছে। এই ছবিটি দেখেই বোঝা যায় আমাদের সন্তানরা পড়াশোনার প্রতি কতটা আগ্রহী, বিশেষত মেয়েরা।” এক টুইটার ইউজার লিখেছেন, “এই খুদে সৈনিককে আমি শ্রদ্ধা জানাই। ও জানে শিক্ষা আমাদের কতকিছু দিতে পারে।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>