আগরতলা: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি।গত বছর জুন মাসে উপনির্বাচনের মতো বড় ব্যবধানে না জিতলেও এই ভোটে জয়লাভ করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আর তিনিই আবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন রাজ্যের। সোমবার দলীয় বৈঠকে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছে গেরুয়া শিবির বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি পরিষদীয় বৈঠকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত তিনিই। তাঁর শপথ আগামী ৮ মার্চ হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করা হোক, ৩ রাজ্যের ফল ঘোষণা হতেই খড়্গহস্ত শুভেন্দু
গত উপনির্বাচনে টাউন দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের আশিস সাহাকে ৬ হাজার ১০৪ ভোটে হারিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কিন্তু এই নির্বাচনে আশিসের সঙ্গে মানিকের ব্যবধান কমে হাজারেরও নীচে নেমে যায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১ হাজার ৩২১ ভোটে জিতেছিলেন মানিক সাহা। তাই বলা যায়, তাঁর কান ঘেঁষে হার বেরিয়ে গিয়েছে। যদিও এখন পুরোপুরি স্বস্তির মহল। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সেই মানিকই। প্রসঙ্গত, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে মোট ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন মানিক সাহা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আশিসএর ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভোট। মাত্র হাজার ভোটের ব্যবধানে মানিকের এই জয় বিজেপির সমর্থন কমার স্পষ্ট ইঙ্গিত৷ তেমনটাই দাবি বিরোধীদের৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মেঘালয়: সাফল্যের নেপথ্যে কার কৃতিত্ব? TMC’s performance in Tripura-Meghalaya Assembly elections” width=”853″>
এদিকে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি যা যা অভিযোগ করে, সেই অভিযোগই উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরাতে। বিরোধীদের দাবি ছিল, বাড়ি থেকে শুরু করে পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুহুর্মুহু চলছে নৃশংস অত্যাচার। এদিকে মানবাধিকার কমিশন এবং গোয়েন্দা সংস্থারা চুপ করে আছে। তৃণমূল তাঁদের টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করে লিখেছিল, ”বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর বিজেপি তাদের আসল রঙ দেখিয়েছে। রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা এবং নিশ্চুপ রাজ্য প্রশাসন। বিজেপির গুণ্ডারা বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।”