নয়াদিল্লি: পশুর সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের বহু নিদর্শন রয়েছে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির পশুর মধ্যে বন্ধুত্ব অবাক করে মানুষকে। আবার অনেক সময় মানুষের সঙ্গে পশুর বন্ধুত্বও দেখার মতো। সম্প্রতি এক ফরেস্ট অফিসারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি একটি সদ্যোজাত টিয়াকে নিজের হাতে দানাপানি খাইয়ে দিচ্ছে।
অনেক সময় কুকুরের সঙ্গে মানুষের বা শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের বা অন্য কোন বন্য জন্তু সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব নিয়ে প্রচুর ভিডিও ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার কখনও দেখা যায় মানুষ তাদেরকে হাতে করে খাইয়ে দিচ্ছে। কখনও আবার সেই সমস্ত জন্তু জানোয়াররা আদর খাওয়ার আশায় মানুষের কোলে পিঠে উঠে পড়ছে এমন ভিডিও-ও ভাইরাল হতে দেখেছে অনেকেই। কিছুদিন আগে এক মহিলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল হাতে করে ওই মহিলা খাইয়ে দিচ্ছেন হনুমানকে। এবার ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের (আইএফএস) কর্মকর্তা পারভিন কাসওয়ানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে একটি বাচ্চা টিয়াকে এক ব্যক্তি হাতে করে খাইয়ে দিচ্ছে।
কাসওয়ান যে ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন সেখানে একটি বাচ্চা টিয়াকে দেখা গিয়েছে। ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়া থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওয়। ভিডিওর ক্যাপশনে আইএসএস অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান লিখেছেন, ওই টিয়ার মা মারা গিয়েছিল। তাই এক ব্যক্তি টিয়াটিকে বড় করার দায়িত্ব নেন। ভিডিওয় দেখা দিয়েছে একটি সার্জিক্যাল ছুরির সাহায্যে ওই ব্যক্তি টিয়ার ডিম আস্তে করে খুলে তারপর ভেতর থেকে টিয়ার বাচ্চাটি বের করেন। তারপর ক্রমশ তাকে যত্ন শুরু করেন। ছোটবেলায় টিয়াটিকে হাতের তালুতে শুইয়ে খাবার খাওয়ানো হতো। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে টিয়া। বড় হওয়ার প্রত্যেকটা ধাপ তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওয়। এমনকী তাকে কিভাবে খাওয়ানো হতো ছোটবেলায়, তারপর সে যখন একটু বড় হতে শুরু করল তখন তাকে কীভাবে খাওয়ানো হতো, সেগুলো সবই তুলে ধরা হয়েছে। আর এখন টিয়াটি যথেষ্ট বড়। উড়ে বেড়াতে পারে। সেই হলদেটে সবুজ টিয়া এখন ঘরময় ঘুরে বেড়ায় আর মালিক আঙুল এগিয়ে দিলে উড়ে এসে বসে তাঁর আঙুলে।
নেটিজেনদের ভিডিওটি বেশ পছন্দ হয়েছে। এবং এটি অনলাইনে শেয়ারও করেছেন অনেকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩২.২ হাজারেরও বেশি ভিউয়ার্স হয়েছে ভিডিওটির।
Sweetest thing to watch. The parrot mother died, so he raised the baby. Just beautiful. pic.twitter.com/gbMgMfMpCj
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) August 6, 2020