ছিল ঘর বাঁধার স্বপ্ন, পরিণতি পেল প্রতারণায়! যুবককে সর্বশান্ত করে উধাও তরুণী

ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকেই আলাপ শুরু হয়েছিল দু'জনের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তরুণী। আর তার জেরেই প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু যুবক। অবশেষে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ১৬.৮২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে বর্তমানে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। এমনকী, ধার নেওয়ার টাকাও ফেরত দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ যুবকের।

2c862d62cd0e97c0f53e8b21a91b6ecb

 

বেঙ্গালুরু: ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকেই আলাপ শুরু হয়েছিল দু'জনের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তরুণী। আর তার জেরেই প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু যুবক। অবশেষে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ১৬.৮২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে বর্তমানে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। এমনকী, ধার নেওয়ার টাকাও ফেরত দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ যুবকের।

৩১ বছরের বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর আলাপ হয়েছিল ওই তরুণীর সঙ্গে। তারপর ফোনে কথা বলা এবং বহুবার দেখাও করেছেন তাঁরা। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে উভয়ের মধ্যে। অবশেষে দু'জনে মিলে বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই ওই তরুণী বহুবার আর্থিক সমস্যার কথা বলে টাকা ধার নিয়েছেন ওই যুবকের থেকে।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর ওই প্রযুক্তিবিদ ১৬ লক্ষ ৮২ হাজার ২২২ টাকা হাতানোর অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশের কাছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা বেঙ্গালুরু মিরর জানিয়েছে, যেদিন থেকে ওই যুবক ধার দেওয়া টাকা ফেরত চেয়েছেন, সেদিন থেকে তাঁর ফোন কল বা মেসেজের কোনও জবাব দেননি তরুণী। হোয়াইটফিল্ড পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, বহুবার উভয়ে দেখা করেছেন। ওই যুবক আশা করেছিলেন, অভিযুক্ত তরুণী তাঁর বাকি জীবনের সঙ্গী হবেন।

পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, 'যেহেতু ওই তরুণীর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করেছিলেন, তাই ওই যুবকের মনে সেরকম কোনও সন্দেহ হয়নি। তাঁর মনে তখনই প্রশ্ন জেগেছে, যখন তিনি বুঝতে পারেন, ওই তরুণী তাঁকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। এরপর অভিযুক্ত জানিয়েছেন যে, ওই যুবককে তিনি বিয়ে করতে চান না। তখন ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে তার কোনও জবাব দেননি তরুণী।' তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *