কোভ্যাক্সিন নেওয়ার ১০ দিন পর মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবকের, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার নমুনা

নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় কোভ্যাক্সসিন ও কোভিশিল্ডকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতে। এর মধ্যে দেশজুড়ে চলছে কোভ্যাক্সিনের ড্রাই রান। আর ড্রাই রান চলাকালীনই মৃত্যু হল এক ভোপালের এক স্বেচ্ছাসেবকের। মৃত্যুর ১০ দিন আগে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মৃত ব্যক্তির নাম দীপক মারাভি। তবে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।

নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় কোভ্যাক্সসিন ও কোভিশিল্ডকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতে। এর মধ্যে দেশজুড়ে চলছে কোভ্যাক্সিনের ড্রাই রান। আর ড্রাই রান চলাকালীনই মৃত্যু হল এক ভোপালের এক স্বেচ্ছাসেবকের। মৃত্যুর ১০ দিন আগে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মৃত ব্যক্তির নাম দীপক মারাভি। তবে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।

১২ ডিসেম্বর ভোপালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হয়। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি। ২১ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি দীপকের পরিবারের তরফে বিষয়টি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেককে জানানো হয়। কিন্তু ময়নাতদন্তের পরে মধ্যপ্রদেশ মেডিকো লিগাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ডা. অশোক শর্মা জানান, বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. প্রভুরাম চৌধুরীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সাধারণত ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। কিন্তু দীপকের শরীরে ৪৮ ঘণ্টা পরেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বিষক্রিয়ার কথাই বলা হয়েছে।

যদিও মধ্যপ্রদেশের সরকারের এই বক্তব্য মানুষের মন থেকে সন্দেহ দূর করতে পারছে না। সরকারও তা বুঝতে পারছে। সেই কারণে ঘটনাটিকে স্পর্শকাতর বিষয় বলে উল্লেখ করে ভ্যাকসিন সম্পর্কে কোনও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, দেহ ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে সম্পূর্ণ বিষয় বোঝা যাবে। তার আগে যেন কোনও গুজব না ছড়ানো হয়। কারণ এতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে সমস্যা তৈরি হবে। তবে তাঁর মতে ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তা ২-৩ দিনের মধ্যেই বোঝা যাওয়ার কথা। ১০ দিন পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *