চেন্নাই: তিরুভাল্লুর জেলার উপ্পাঙ্গকুঝি হ্রদে ভাঙন ধরেছে৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যে মাছ ধরতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা৷ অভিযোগ পেয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছান তামিলনাড়ুর মৎস্যমন্ত্রী অনিতা রাধাকৃষ্ণণ৷ কিন্তু তিনি জলে নামতে নারাজ৷ জলে নামলেই ভিজবে জুতো৷ তাই সটান উঠে পড়লেন এক মৎস্যজীবীর কোলে! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর কীর্তি৷
আরও পড়ুন- লড়াইয়ে জোর, ২৩ হাজার কোটির কোভিড প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের
দীর্ঘ দিন ধরেই সমুদ্র তীরের ভাঙন ও ক্ষয়ের অভিযোগ করে আসছিলেন থিরুভাল্লুরের মৎস্যজীবীরা৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এসেছিলেন মৎস্যমন্ত্রী৷ এদিন একটি ছোট নৌকায় চেপে পরিস্থিতি নিজের চোখে খতিয়ে দেখছিলেন তিনি৷ ওই নৌকায় ছিল আরও ৩০ জন লোক৷ কিন্তু ওভারওয়েট হয়ে পড়ায় একটা জায়গায় পৌঁছে নৌকা টালমাটাল হয়ে পড়ে৷ প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই তাই অন্য একটি নৌকায় ঝাঁপ দেন৷ পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর তাঁরা সকলেই এসে পৌঁছান তীরে৷ কিন্তু ডাঙার কাছে আসতেই বাঁধল গোল৷ কিছুতেই জলে জুতো ভেজাবেন না মন্ত্রীমশাই৷ সকলে তাঁকে জলে নামার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও পরনের সাদা ধুতি আর ধবধবে সাদা জুতো জলে ভেজাতে তিনি নারাজ৷ এদিকে জলে না নামলে ডাঙায় ওঠাও সম্ভব হয়৷ অগত্যা তাঁকে কোলে তুলে নেন এক মৎস্যজীবী৷ কোলে চাপিয়েই নৌকা থেকে ডাঙায় পৌঁছন তিনি৷ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ তাঁর এই ভিআইপি আচরণেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা৷
#WATCH | Fishermen carry Tamil Nadu Minister Anitha Radhakrishnan on shoulders after he refuses to step into the water during an inspection at Thiruvallur district where fishermen had complained of erosion. pic.twitter.com/55R7PTpk1j
— ANI (@ANI) July 8, 2021
এ বিষয়ে রাধাকৃষ্ণণকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, তিনি জলে নামার জন্য প্রস্তুত ছিলেন৷ তাঁকে ডাঙায় নিয়ে যাওয়ার জন্যেও কাউকে বলেননি৷ কিন্তু ভিড়ের মধ্যে একজন মৎস্যজীবী ভালোবেসে নিজেই তাঁকে কোলে তুলে নেন এবং ডাঙায় পৌঁছে দেন৷ তিনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বলে মৎস্যজীবীরা খুশি হয়েছে বলেও জানান রাধাকৃষ্ণণ৷ মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমায় ভালোবেসে বললে, আমার উচিত কাঁধে চড়া৷ আমি না করলে, সেটা ভুল হত৷ একজন মৎস্যজীবী একজন মৎস্যজীবীর কাঁধে চড়তেই পারেন৷ আমি না চাপলে কে চাপবে?’’
আরও পড়ুন- বাংলা পেতে চলেছে ৪ নতুন মন্ত্রী, ৪৩ জনের নাম প্রকাশ্যে
তবে এখানে আর একটি বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ ৭ জনের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি নৌকায় ৩০ জন কী ভাবে উঠে বসেলেন? এতে যে কোনও মুহূর্তে বড় সড় বিপদ ঘটতে পারত৷ যার জেরে মাঝ পথে কিছু মানুষকে লাফিয়ে অন্য নৌকাতেও যেতে হয়৷ আর এতকিছুর পর গোড়ালি ভেজাতে নারাজ মৎস্যমন্ত্রী!!