অযোধ্যা: উত্তরপ্রদেশের অন্যতম পবিত্র নদী সরযুতে সস্ত্রীক স্নান করতে নেমে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন। আর তাতেই পবিত্র নদীকে অপবিত্র করার অপরাধে স্থানীয় জনতার হাতে বেধড়ক মার খেলেন যুবক। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়। ইতিমধ্যই এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা যাচ্ছে, পবিত্র নদীতে স্নান করতে নেমে স্ত্রীকে চুমু খাওয়ার অপরাধে ওই যুবক এবং তাঁর স্ত্রীকে জল থেকে মারতে মারতে ডাঙ্গায় তোলে স্থানীয় জনতা। এমনকি এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সেখানে উঠেছে নিন্দার ঝড়। পবিত্র নদীতে নেমে এমন অশালীন আচরণ করায় ওই যুবককেই অভিযুক্ত ঠাওরেছেন নেটপাড়ার একাংশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে অযোধ্যা পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অযোধ্যার সরযু নদীতে স্নান করছিলেন ওই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী। খরস্রোতা নদীতে জলে নেমে প্রথম থেকেই বারবার ভারসাম্য হারাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। জলের তোড়ে যাতে তিনি ভেসে না যান, তার জন্য স্বামীকেই জড়িয়ে ধরেছিলেন ঐ মহিলা। আর তাতেই জলে ডুব দেওয়ার পর স্ত্রীর গালে চুমু খান ওই ব্যক্তি। ব্যস! তারপরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তুলকালাম বেঁধে যায় নদী চত্বরে। ‘অভিযুক্ত’ এই ব্যক্তির আশেপাশে দাঁড়ানো অন্যান্য ব্যক্তিরা সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষেপে গিয়ে টেনে ওই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রীকে জল থেকে ডাঙায় তোলেন। তাদের মধ্যেই কয়েকজনকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘এটা অযোধ্যা। এখানে এই ধরনের অসভ্যতামি একেবারেই সহ্য করা হবে না।’ এরপরেই ওই ব্যক্তিকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে খবর। মহিলা তার স্বামীকে বাঁচানোর হাজার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি। সরজু নদী চত্বরেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে চড়, কিল, ঘুসি, লাথি সবই মারা হয়। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী অযোধ্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনা প্রসঙ্গ অযোধ্যা পুলিশের তরফ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে অযোধ্যার কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনের ইনস্পেক্টর ইনচার্জকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল-মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজনেরা প্রশ্ন তুলেছেন, অযোধ্যা হোক বা অন্য কোথাও স্ত্রীকে চুমু খাওয়ার অপরাধে কেন স্বামীকে মারধর করা হবে? কোথায় লেখা রয়েছে যে এই কাজ অপরাধ।