নয়াদিল্লি : ব্রিগেডে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ ভারত সমাবেশের তিন সপ্তাহ পর বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে বিরোধীদের গণতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশের মূল উদ্যোক্তা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ব্রিগেডের সভায় না থাকলেও এই মঞ্চে ছিলেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআইয়ের ডি রাজা। এই ধরনার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই পৌঁছে গিয়েছেন রাজধানীতে। সমাবেশে মমতা বলেন, মোদি সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই সিবিআই, ইডির মতো সংস্থাকে দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে। জেলে পাঠানোর কথা বলছে। পারলে করে দেখাক। যে দল যেখানে শক্তিশালী সেই দল সেখানে লড়াই করুক। কংগ্রেসের আনন্দ শর্মাও বলেন, মোদি বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। শারদ পাওয়ার নতুন জোট বাঁধার কথা বলেন। এই সমাবেশে ইয়েচুরি মোদি ও অমিত শাহকে দুর্যোধন এবং দুঃশাসন বলে বর্ণনা করেন। ফারুক আবদুল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা পরে হবে। আগে মোদিকে হটাও। এই সরকারকে যমুনায় ফেলার কথা বলেন শরদ যাদব। ডিএমকের কানিমোঝি স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ডাক দেন। অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং বলেন, নাগরিকত্ব বিল মোদির স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। ছিলেন যশোবন্ত সিনহা, এনসিপির মাজেদ মোমিন, রামগোপাল যাদবরা। মমতা এদিন সংসদ চত্বরে সাংসদের ধরনায় যোগ। উদ্বোধন করেন জিটিএ ভবনেরও।