বিরোধিতা ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না মমতা, ‘কাটমানি’ খোঁচা নাড্ডার

বিরোধিতা ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না মমতা, ‘কাটমানি’ খোঁচা নাড্ডার

নয়াদিল্লি:  মানুষের সেবা নয়, রাজনীতি করতেই বেশি ভালোবাসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ করোনা পরিস্থিতিতেও রাজনীতি করে গিয়েছেন তিনি৷ এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷

কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, কেন্দ্রের অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়েছেন পরিযায়ীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কথা উল্লেখ বলেছিলেন, ‘‘আমি অমিত শাহকে বলেছিলেন, যদি মনে হয় রাজ্য করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছে না, তাহলে কেন্দ্র কেন দায়িত্ব নিচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গে একটি সবভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকার নাড্ডা বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সকলকে সাহায্য করা৷ সকলকে এই সংকট থেকে বার করে আনা৷ এই লক্ষ্য পূরণের সবরকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, সরকার নয়, উনি শুধু বিরোধিতা বোঝেন৷ বিরোধিতা করাই ওনার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ নাড্ডা আরও বলেন, ভারত যখন লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন আমেরিকা, স্পেন, ইতালি সহ সারা ইউরোপের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয় ছিল৷ এমনকী চিনও লুকিয়ে গিয়েছিল ওদের আসল অবস্থার কথা৷ এমন পরিস্থিতিতে বিচক্ষণতার সঙ্গে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ অথচ সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিএএ-র উপর থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই করোনা নিয়ে কথা হচ্ছে৷ 

বিজেপি সভাপতি বলেন, এহেন মন্তব্যেই সাফ বোঝা যাচ্ছে জনগণের প্রতি তাঁর চিন্তাটা কত৷ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি কতটা ওয়াকিবহাল ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়৷ নাড্ডার অভিযোগ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজনীতিটাই সবার আগে৷ মানুষের স্বার্থ নিয়ে উনি চিন্তিত নন৷ প্রতিটি পদক্ষেপকে উনি বিরোধী নজরে দেখা৷’’ তাঁর কথায়, মমতাজি যতই বিরোধিতা করুক, এখনও বাংলাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্র৷ সমস্ত প্রয়োজন মেটানো হবে৷ 

আগামী দিনে বাংলায় রাজনৈতিক লড়াইটাও বেশ বড়৷ বাংলায় নির্বাচনী হিংসা যতই থাকুক, সেখানে প্রজাতান্ত্রিক ভাবেই লড়াই হবে বলে উল্লেখ করেন নাড্ডা৷ জানান, প্রতিটি লড়াইয়ের জন্যই প্রস্তুত গেরুয়া শিবির৷ সুর চড়িয়ে নাড্ডা আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের নীচের মাটি সরে গিয়েছে৷ বাংলার মানুষ সবটা বুঝে গিয়েছে৷ তাঁরা কষ্টের মধ্যে আছে৷ প্রতিটি জিনিসে রাজনীতি হচ্ছে৷ তৃণমূলের কর্মকর্তাদের মধ্যে কাটমানি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে৷ বাংলার মানুষ এখন চায় শান্তিপূর্ণভাবে একটা স্বচ্ছ সরকার ক্ষমতায় আসুক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *