কলকাতা: ফের বেলাগাম বিজেপি৷ খোদ পাক প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপি জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইমরান খানের ভাষায় কথা বলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ করে বিজেপি নেতার আরও দাবি, ইমরান খানকে রাখি পড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বিজেপি নেতার এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বাংলা রাজনীতিতে নয়া বিতর্ক৷
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে সম্বিত পাত্রের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাক-প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় কথা বলছেন! পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণ ওষ্ঠাগত বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাক, তা তিনি চাননি৷ ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিরোধীতার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন ওই বিজেপি নেতা৷ তোষণ রাজনীতির জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করার বিরুদ্ধে বলেও অভিযোগ তাঁর৷
বেলাগাম সম্বিত পাত্রের আরও মন্তব্য, বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেআইনিভাবে বসবাস করা বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের কথা ভেবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরোধিতা করছেন৷ তোষণ করে মমতাজের ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখার চেষ্টা করছেন৷ তাঁর কাছে দেশের সুরক্ষার থেকে ভোটব্যাঙ্কের সুরক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে এখানেই থামেননি বিজেপির মুখপাত্র৷ তাঁরা আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইমরান খানের ভাষায় কথা বলেন৷ ইমরানকে রাখি পরিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সেই কারণে দু’জনে একই ভাবে কথা বলেন!
বিজেপির মুখপাত্রের বেলাগাম মন্তব্য ঘিরে বাংলার রাজনীতি শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ কেননা, বাংলার রাজনীতির ঘরানা একটু অন্যরকম৷ সেখানে মতাদর্শগত বিরোধ থাকলেও কখনও শত্রু দেশের প্রধানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তুলনা আজ পর্যন্ত বাংলার রাজনীতির কটাক্ষের ভাষা উঠে আসেনি৷ এবার বিজেপির মুখপাত্রের মন্তব্য থেকে সেটাও আর বাধা রইল না৷ স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির মুখপাত্রের এই মন্তব্যের পেছনে বিভাজনের রাজনীতির যে পরিষ্কার তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ যদিও তৃণমূলের তোষণ রাজনীতি নিয়ে কম কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম-কংগ্রেস৷ বাম-কংগ্রেসের তরফে তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ করা হলেও কখনও ইমরানের সঙ্গে তুলনা করেননি তাঁরা৷ এবার সেই গঞ্জনাও শুনতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে৷