নয়াদিল্লি: কুর্তা, মিষ্টির বিতর্কের মাঝে এবার বঙ্গরাজনীতিতে ‘মাছের ঝোল’ বিতর্ক৷ সৌজন্যে সেই বিজেপি৷ বুধবার, জাতীয় রাজনীতির হেঁশেলে ‘মাছের ঝোল’ বিতর্ক ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা নিতিন গডকড়ী৷
অক্ষয় কুমারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ‘‘মমতা দি, নিজে বেছে আমার জন্য কুর্তা পাঠান৷ বছরে তিন-চার বার মিষ্টিও পাঠান৷’’ মোদির এই মন্তব্যের পর পাল্টা জাবাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কুর্তা উপহার দেওয়ার প্রসঙ্গে সিউড়ির চাঁদমারিতে নির্বাচনী সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা অনেককেই মিষ্টি পাঠাই৷ আমি কুর্তা পাঠালে দোষটা কোথায়? এটা আমাদের সংস্কৃতি৷’’ এবার এই বিতর্কের মাঝে নতুন মাত্রা জুড়লেন নিতিন গডকড়ি৷
বুধবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গডকড়ী বলেন, ‘‘একবার আমি কলকাতায় গিয়েছিলাম, সে বার তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার জন্য মাছের ঝোল রান্না করে এনেছিলেন। বললেন, আমি নিজে রান্না করেছি। কিন্তু আমি তো নিরামিষ ভোজি। তাই শুধু দই-ভাত খেয়েছিলাম৷’’
এর আগে নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় কাউকে না কাউকে কিছু পাঠায়৷ শুধু নরেন্দ্র মোদি নয়, আমি অনেকেই পাঠায়৷ যাঁরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে৷ তবে, হ্যাঁ৷ ওরা বলেদেয়৷ আমরা বলি না৷ কারণ এটা আমাদের কালচার নয়৷ আমরা পয়লা বৈশাখে সবাইকে মিষ্টি পাঠায়৷ আমরা দুর্গা পুজোয় পাঠায়৷ আমরা এখানকার আম সবার কাছেই পাঠায়৷ কেউ সবাই তো বলে না৷ কার্সি আর পলিটিক্স এক নয়৷ আমি সবার জন্মদিনে চিঠি পাঠায়৷ আপনার জন্মদিনেও পাবেন৷ শুভকামনা সবার করি৷ সুতরাং এভাবে রাজনীতি করা ঠিক নয়৷ আপনার সঙ্গে আমরা কত ভদ্রতা করি বলুন৷ আর আপনি এখানে এসে আমাকে চমকান৷ রোজ আমাকে গুণ্ডা বলেন৷ আমি যদি গুণ্ডা হই, তাহলে আপনি কী?’’