পুরানো বিবাদ ভুলে চিদাম্বরমের পাশে মমতা, ‘কাঁদছে বিচারের বাণী’

কলকাতা: সরদা কেলেঙ্কারিতে ইডির তৎপরতা শুরু হতেই কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার মন্তব্যে পাল্টা সুর চড়িয়ে ছিলেন চিদাম্বরম৷ এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে ‘সম্পর্কের তিক্ততা’ বাড়লেও বিপদের দিনে এবার সেই চিদাম্বরমের পাশে দাঁড়ালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিঘা সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারির পদ্ধতি হতাশাজনক৷ বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ে কিছু বলছি না৷

ff6407048e036b13af086777c26bec09

পুরানো বিবাদ ভুলে চিদাম্বরমের পাশে মমতা, ‘কাঁদছে বিচারের বাণী’

কলকাতা: সরদা কেলেঙ্কারিতে ইডির তৎপরতা শুরু হতেই কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার মন্তব্যে পাল্টা সুর চড়িয়ে ছিলেন চিদাম্বরম৷ এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে ‘সম্পর্কের তিক্ততা’ বাড়লেও বিপদের দিনে এবার সেই চিদাম্বরমের পাশে দাঁড়ালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

দিঘা সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারির পদ্ধতি হতাশাজনক৷ বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ে কিছু বলছি না৷ আমাদের দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন৷ সংবাদমাধ্যম এখন বিজেপির মুখপাত্র৷ এখন বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে৷’’  এর আগে সারদাকাণ্ডে খোদ চিদাম্বরমের নাম জড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১৪ সালের এপ্রিলে সারদাকাণ্ডে তদন্তে ইডির তৎপরতা শুরু হতেই জনসভার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে আক্রমণ করেন৷ চিদাম্বরমের স্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ এর পাল্টা হিসেবে চিদাম্বারাম সাংবাদিক বৈঠক করে জবাব দেন৷

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সিবিআই ও ইডিকে ব্যক্তিগতভাবে কাজে লাগানোর অভিযোগ করেন তিনি৷ এদিন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷

বলেন, ‘‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দেশের সেবা করেছেন পি চিদাম্বরম৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ গণতন্ত্র হত্যা করছে মোদি সরকার৷ বিজেপি বদলা রাজনীতি করতে চাইছে৷ ব্যক্তিগত বদলা নিতেই সিআইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷’’

বলেন, ‘‘আইনি সাহায্য পাওয়ার সব নাগরিকের অধিকার আছে৷ চিদাম্বারামকেও একই অধিকার পাওয়া উচিত৷ দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে নজর ঘোরাতেই চিদাম্বারামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন তথ্য-প্রমাণ নেই৷ তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে৷ চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে কখনই কোন দুর্নীতির অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি৷ আজ গোটা দেশে যখন অর্থনৈতিক ডামাডোল চলছে তখন সারা দেশে নজর ঘোরাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে৷’’

কিন্তু, হঠাৎ কেন এই ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রসঙ্গ তুললেন রণদীপ সুরজেওয়ালার? জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পি চিদাম্বরম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন অমিত শাহকে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন৷ এবার ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন অমিত শাহ৷ সেই অমিত শাহের আমলে এখন গ্রেপ্তার পি চিদাম্বরম৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *