বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ১৫ ঘণ্টা কেটে গেলেও কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক তত্ত্ব সামনে এসেছে কিন্তু কোনটা সঠিক তা নিয়ে এই মুহূর্ত পর্যন্ত রেলের তরফেও কিছু জানান হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে, গোড়া থেকে খতিয়ে দেখা হবে। তবে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না। তাই এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিন হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে কপ্টারে করে বালেশ্বর পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্ত কথাও বলেন তিনি। কিন্তু তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে তুলোধোনা করেন। মমতার কথায়, রেলের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। না হলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে না। যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ ভাবে না রেল, গাফিলতি করে। তিনি এও বলেন, তাঁর রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি একাধিক ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে তা ছিল না বলেই অভিযোগ মমতার। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, মমতা যখন রেল নিয়েই অভিযোগ করেন তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০৷ আহতের সংখ্যা ৯০০-রও বেশি যাত্রী৷ বালেশ্বর থেকে যে ছবি উঠে আসছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক৷ রেলের কামরাগুলি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যাও বাড়বে।