কলকাতা: ‘মোদী’ পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত৷ সেই সঙ্গে তাঁকে ২ বছরের সাজাও শোনানো হয়৷ এর পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ এখন আর সাংসদ নন তিনি। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে একদিকে যেমন রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি, অন্যদিকে জোর আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।
আরও পড়ুন- ‘ED-CBI-এর অপব্যবহার করছে কেন্দ্র’, সুপ্রিম কোর্টে মামলা ১৪টি বিরোধী দলের, সামিল তৃণমূলও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইট করে লেখেন, ”প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির মূল নিশানা হয়ে উঠেছে। একদিকে যখন ফৌজদারি মামলার অতীত থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, অন্যদিকে তখন বিরোধী নেতাদের শুধু ভাষণ দেওয়ার জন্য বরখাস্ত করা হচ্ছে! আজ, গণতন্ত্র নতুন নিম্নতায় পৌঁছল।” তবে শুধু মমতা নন, রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, ”গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটি।” সাম্প্রতিক সময়ে কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে ‘একজোট’ হওয়ার ভাবনাও তারা ইদানীং ভাবেনি। তবে এই ঘটনা যে মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে তার একটা আন্দাজ পাওয়াই যাচ্ছে।
In PM Modi’s New India, Opposition leaders have become the prime target of BJP!
While BJP leaders with criminal antecedents are inducted into the cabinet, Opposition leaders are disqualified for their speeches.
Today, we have witnessed a new low for our constitutional democracy
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 24, 2023
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়৷ পরে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং তাঁর ২ বছরে কারাদণ্ড হওয়ায় আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷