মুম্বই: লকডাউন ঘোষণার আগে অন্তত এই শ্রমজীবী মানুষের জন্য ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের। উঠেছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এরমধ্যেই সোমবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিলেন, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের খাবার ও বাসস্থানের জন্য ২৬২ টি রিলিফ ক্যাম্প তৈরি করেছে তাঁর সরকার। আপাতত সেখানে থাকতে পারেন ভিনরাজ্যের এই শ্রমিকরা।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছিলেন, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের মহারাষ্ট্র ছাড়তে হবে না। তাঁদের গ্রাসাচ্ছানের ব্যবস্থা করবে মহারাষ্ট্র সরকার। সোমবার এক টুইট বার্তায় উদ্ধব ঠাকরে জানান, গৃহহীন মানুষগুলোর থাকা খাওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে তাঁর সরকার। এই ২৬২-টি রিলিফ ক্যাম্পে প্রায় ৭০ হাজার ৩৯৯জন ভিনরাজ্যের শ্রমিক থাকতে পারেন। এই বিপর্যয়ের দিনে গৃহহীন মানুষগুলোকে পেটের খাবার ও মাথার ছাদ দেওয়া হবে।
মারণ ভাইরাস করোনাকে ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার সুযোগ পাননি। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন। গণ পরিবহন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে পায়ে হেঁটেই প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। না খেয়ে মাইলকে মাইল হাঁটছেন কতলোক। দিল্লি আনন্দ বিহার বাসস্ট্যান্ডে শ্রমদীবী মানুষের ভিড় দেখে অনকেই বাকরুদ্ধ হয়েছেন।
মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১২ জন। নতুন করে ১২ জন সংক্রমিত হওয়ার পর মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৫-তে পৌঁছেছে। নতুন করে আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন মুম্বইয়ে, ৫ জন পুণে-তে, নাগপুরে ২ জন, কোলহাপুরে একজন এবং নাসিকে একজন সংক্রমিত হয়েছেন। সোমবার সকালে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে মোট ২১৫ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মুম্বইয়ে নতুন করে ৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন, ৫ জন পুণে-তে, নাগপুরে ২ জন, কোলহাপুরে একজন এবং নাসিকে একজন সংক্রমিত হয়েছেন।