নয়াদিল্লি: শুক্রবার সকালে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়েছিল রাজ্যসভার নির্বাচন এবং বিকেল হতে না হতেই নির্ধারিত সময়েই তা শেষ হল। শুক্রবার দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। যাদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন ১১টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী। এদিন সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে এই ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ভোট ক্রসিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক,ক্যান্সার আক্রান্ত এবং গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরেও অ্যাম্বুলেন্সে করে এসে ভোটদান করেছেন। এদিন সকালবেলা নির্ধারিত সময়েই তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজ্যসভায় উপস্থিত হন। এরপর তাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তবেই বাড়ি ফেরেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক মুক্তা তিলক।
জানা যাচ্ছে, বছর পঞ্চান্নর ওই বিজেপি বিধায়ক তার স্বামীকে সঙ্গে করে শুক্রবার সকালে রাজ্যসভায় উপস্থিত হন। মুক্তার শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন তার স্বামীকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়। প্রসঙ্গত মুক্তা মহারাস্ট্রের পুনের কসবা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে। ইতিমধ্যেই মুক্তার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওগুলি থেকে অনেকেই মুক্তার লড়াকু মনোভাব এবং দেশের প্রতি তার কর্তব্য ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মানের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই রাজস্থানের বিজেপি এবং কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে ভোট ক্রসিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের এক বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কর্নাটকের এক জেডি(এস) বিধায়ক। তিনিও কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।