নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিলেন, বাঙালি বিচারপতির বদলিতে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র

নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিলেন, বাঙালি বিচারপতির বদলিতে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেঘালয় হাইকোর্টে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এবং মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবীরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। কেন একজন যোগ্য এবং নির্ভীক বিচারপতিকে বদলি করা হল তার জবাব চেয়েছেন তারা। এই ইস্যুতে বাইরে থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক ভর্ৎসনা করেছিলেন।

জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জনসভার অনুমতি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করে মন্তব্য করেছিলেন যে কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত ছিল।  সেই বাঙালি প্রধান বিচারপতিকেই হঠাৎ করে বদলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন হঠাৎ এই ভাবে একজন যোগ্য বিচারপতিকে বদলি করে দেওয়া হবে তার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণা ও কলোসিয়ামের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারস্থ মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবীরা। অনেকেই মনে করছেন যে নির্বাচন কমিশনকে ওইভাবে ভর্ৎসনা করার জন্য হয়ত এখন বিচারপতির বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাহ্যিক চাপ রয়েছে বলেও অনেকের অভিমত। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কলোজিয়ামের সদস্যদের কাছে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আইনজীবীরা জানতে চেয়েছেন, এই বদলির সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে নেওয়া হয়েছে না ন্যায়বিচারের স্বার্থে। তাদের আরও একটি প্রশ্ন, বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসে তাহলে নভেম্বর মাসে কেন এটা প্রকাশ্যে আনা হল।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিজয়া কে তাহিলরমানিকেও একইভাবে মেঘালয় হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছিল। তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বদলির নির্দেশ বহাল থাকায় তিনি পরে ইস্তফা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 7 =