নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার হোলি। সেই হোলি যে কংগ্রেসের জন্য একেবারের সুখের হল না, তা মধ্যপ্রদেশের একের পর এক বিধায়কের পদত্যাব বলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ২১ জন বিধায়ক। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক লক্ষণ সিং জানালেন, তাঁরা বিধাসভায় বিরোধী আসনে বসতে প্রস্তুত রয়েছেন।
লক্ষ্মণ সিং জানিয়েছেন, যা হওয়ার হবে, ‘বিরোধী আসনে বসার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত আমাদের (কংগ্রেস)। ভবিষ্যতে কংগ্রেস ফের সরকার গঠন করবে, আমি মনে করি খুব বেশি ব্যবধান হবে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করব৷’ এদিনই বিধায়কদের সঙ্গে জরুরি পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শেষে কংগ্রেস নেতা কান্তিলাল ভুরিয়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার শক্তিশালী এবং ক্ষমতায় থাকবে। কেউ বলছে সরকার পড়বে, কিন্তু সরকার পড়বে না। আমাদের কাছেই বেশিরভাগ বিধায়ক রয়েছে।
জল্পনা চলছিল, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া| কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা মঙ্গলবার সত্য প্রমাণিত করেছেন জ্যোতিরাদিত্য নিজেই। মঙ্গলবার নিজের ইস্তফাপত্র কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। অন্যদিকে, দল-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অবিলম্বে বহিষ্কারও করেছেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী তথা তাঁর কাকিমা যশোধারা সিন্ধিয়া। যশোধারা সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, ‘আমি ভীষণ খুশি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অভিনন্দন| এটা ঘর ওয়াপসি| কংগ্রেসে অবহেলিত হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য।’