ফুটপাতে জীবন, ল্যাম্পপোস্টের আলোয় পড়ে মাধ্যমিকে সফল ছাত্রী পেলেন স্থায়ী আশ্রয়

ফুটপাতে জীবন, ল্যাম্পপোস্টের আলোয় পড়ে মাধ্যমিকে সফল ছাত্রী পেলেন স্থায়ী আশ্রয়

ইন্দোর:  কথায় বলে জেদ আর অধ্যবসা হাত ধরাধরি করে চলে, সমস্ত প্রতিকূলতা দূরে চলে যায়।  তাই করে দেখাল ফুটপাথের কিশোরী।   থাকার মধ্যে একফালি ফুটপাথ।  সকাল থেকেই ভিড় আর হট্টোগোল। আর  রাত হলেই বাড়ে নিঃস্তবদ্ধতা। শুনশান রাস্তাকে আঁকড়ে চলে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলার প্রস্তুতি।  সেই প্রস্তুতি থেকেই একটা লড়াইয়ে সফল হল সে। ফুটপাথের কিশোরী মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পেল। তার জীবন যুদ্ধের কথা শুনতে গিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকে। এগিয়ে এসেছেন অনেকে। উপহারে মিলল একটা ফ্ল্যাট।

দিনের বেলায় হাজার হাজার গাড়ির হর্ণ, মানুষের কোলাহল পড়াশোনা করা সম্ভব হতো না তার। তাছাড়া বাবা-মা কাজ করতে চলে যায়। ছোট ছোট ভাইবোনদের দেখা, রান্না-করা সেগুলো তাকেই করতে হয়।  তাই দিনের বেলা পড়া হতো না। রাত যত বাড়ত, বইয়েকর সঙ্গে বন্ধুত্ব তত নিবিড় হতো।  সারারাত যখন লাইট পোস্টের আলো জ্বলতে শুরু করত। পড়াশোনা শুরু হতো। নিশুতি রাত, শুনশান রাস্তাঘাট, লাইটপোস্টকে সঙ্গে করে রাতের পর রাত জেগে পড়াশোনা করত ভারতী। কষ্টেসৃষ্টে জোগাড় করা বইখাতা, কর্পোরেশনের স্কুলের শিক্ষকদের উৎসাহ, আর নিজের মনের অদম্য ইচ্ছাশক্তি। তাই নিয়েই এ বার সে মাধ্যমিকে ৬৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেছে।