Aajbikel

মোদী জমানায় সর্বনিম্ন কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি, বলছে রিপোর্ট

 | 
মোদী

 নয়াদিল্লি:  মোদী জমানায় শুধু বেকারত্ব বৃদ্ধিই নয়, রেকর্ড নিম্নমুখী কর্মসংস্থানের হারও। প্রতি বছর ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি কার্যত বিশ বাও জলে৷ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও শুধুই ব্যর্থতা৷ অর্থমন্ত্রকের ব্যয় সংক্রান্ত দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩০ লক্ষ ১৩ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী রয়েছে। ২০১০ সালের পর যা সর্বনিম্ন। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিগত তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত পদ ও চাকরির সংখ্যা—দুটিই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। 

এই মুহূর্তে সারাদেশে কেন্দ্রীয় সরকারে শূন্যপদ রয়েছে ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অবস্থাও প্রায় এক৷ কী ভাবে এত পদ ফাঁকা হল? অর্থমন্ত্রকের ‘বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত’ বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১ মার্চ অসামরিক ক্ষেত্রে  রেগুলার কর্মীর (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বাদে) সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষ ৩৫ হাজার। কিন্তু ২০২২ সালের ১ মার্চ সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩৯ লক্ষ ৭৭ হাজার। সবচেয়ে বেশি কোপ পড়েছে গ্রুপ সি পদগুলিতে৷ অসংখ্য পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে৷

২০২১ সালের ১ মার্চ কেন্দ্রের সরকারে কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষ ৫৬ হাজার। কিন্তু পরের বছরে তা কমে হয় ৩০ লক্ষ ১৩ হাজার। অর্থাৎ ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে অনুমোদিত পদ, কর্মীর সংখ্যা এবং শূন্যপদ—সর্বনিম্ন বলে রিপোর্ট প্রকাশি হয়। তাছাড়া রেল, প্রতিরক্ষা (অসামরিক) ডাক, রাজস্বমন্ত্রকে অনুমোদিত পদ ও কর্মীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস করছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, ‘রোজগার মেলা’র মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রক, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ হচ্ছে। অন্তত ১০ লক্ষ নতুন নিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ তবে তাতে করে যে কেন্দ্রীয় সরকারি শূন্যপদ পূরণের স্থায়ী সমাধান সূত্র মেলেনি, তা স্পষ্ট। বিরোধীদের অভিযোগ, এটা ভোটেরই স্টান্ট। 

Around The Web

Trending News

You May like