নয়াদিল্লি: নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যেও সবথেকে বেশি প্রয়োজন পড়ে ওষুধের। কিন্তু বাকি একাধিক জিনিসের মতো ওষুধের দামও শেষ কয়েক বছর ধরে লাগাতার বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ আশঙ্কিত হলেও ওষুধের দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই। পুরনো ওষুধের ফাইলের যা দাম তার থেকে একই ওষুধের নতুন ফাইলের দাম কিছু বেশি। এটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির মাঝেই চিন্তা বাড়িয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওষুধের এক সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে সস্তায় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ পাওয়া এখন অতীত।
এতদিন ধরে সরকারি সংস্থা এইচএলএল লাইফকেয়ার লিমিটেড সস্তায় ওষুধ বিক্রি থেকে শুরু করে জটিল রোগের ওষুধ তৈরি, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার উপকরণ সরবরাহ করত। কিন্তু এখন থেকে তা আর হবে না। কারণ এই সংস্থা বিক্রি করে দিতে চলেছে মোদী সরকার। আপাতত যা খবর, পরের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শুরু করে দেওয়া হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া। আর বলাই বাহুল্য, এই সংস্থা বেসরকারি হয়ে গেলে আম জনতা আর আগের মতো সস্তায় ওষুধ পাবে না। তাই যারা মূলত এই সরকারি সংস্থা থেকে কম দামের জীবনদায়ী বা গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ কিনে খেত, তাদের মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে।
সংস্থা বিক্রির প্রক্রিয়া শুরুর জন্য যে অল্টারনেটিভ মেকানিজম প্রক্রিয়া কমিটি গঠন করতে হয় তা হয়েছে। এই কমিটিতে আছেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এই কমিটির অনুমোদন ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংসদেও অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এইচএলএল ১০০ শতাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সংস্থায় কর্মরত যারা তাদের ভবিষ্যৎ কী, সে ব্যাপারে এখনও কিছুই স্পষ্ট নয়। শুধু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উৎপাদন ও নতুন ম্যানেজমেন্টের নীতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।