লোকসভার স্পিকারের চেয়ার কি ‘অপায়া’? জানুন, চাঞ্চল্যকর ঘটনা

নয়াদিল্লি: লোকসভার স্পিকারের চেয়ার কি সত্যিই ‘অপায়া’? যাঁরাই বসেন তাঁরাই নাকি আর সংসদে ফিরতে পারেন না! আরও কয়েকধাপ এগিয়ে কেউ কেউ এমনও বলছেন, স্পিকারের চেয়ারে একবার বসলেই রাজনৈতিক কেরিয়ারে সর্বনাশ! অন্তত, ভারতের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ পীঠস্থান পরিচালনার ২০ বছরের ট্রেন্ড সেটাই বলছে। টানা ২০ বছর মানে চারটি লোকসভার নির্বাচন। আর এই চারটি নির্বাচনে কোনও স্পিকারই দ্বিতীয়বার

লোকসভার স্পিকারের চেয়ার কি ‘অপায়া’? জানুন, চাঞ্চল্যকর ঘটনা

নয়াদিল্লি: লোকসভার স্পিকারের চেয়ার কি সত্যিই ‘অপায়া’? যাঁরাই বসেন তাঁরাই নাকি আর সংসদে ফিরতে পারেন না! আরও কয়েকধাপ এগিয়ে কেউ কেউ এমনও বলছেন, স্পিকারের চেয়ারে একবার বসলেই রাজনৈতিক কেরিয়ারে সর্বনাশ! অন্তত, ভারতের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ পীঠস্থান পরিচালনার ২০ বছরের ট্রেন্ড সেটাই বলছে।

টানা ২০ বছর মানে চারটি লোকসভার নির্বাচন। আর এই চারটি নির্বাচনে কোনও স্পিকারই দ্বিতীয়বার পীঠস্থানের চৌকাঠে পা রাখতে পারেননি। চেয়ার ছেড়ে গিয়ে কেউ মাঠে-ময়দানে ফের লড়াই করেছেন। দৈনন্দিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু ভোট-ভিক্ট্রি অধরা থেকে গিয়েছে তাঁদের! কেউ আবার চেয়ার ছাড়ার সঙ্গেই সংস্রব ছেড়েছেন রাজনীতির। সব মিলিয়ে দীর্ঘ ২০ বছরে কোনও স্পিকারই পুনর্নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রবেশ করতে পারেননি। কেন পারেননি?

রাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, স্পিকার পদে আসীন হওয়া মানেই তিনি আর কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকতে পারেন না। তিনি ক্রমেই নিজের দলের গণ্ডি পেরিয়ে একজন ‘রাষ্ট্রনেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। দৈনন্দিন রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক থাকে না। সেই কারণে পরবর্তী পর্যায়ের ভোট রাজনীতিতে স্পিকাররা সফল হন না বলে ভাষ্যকার শিব বিশ্বনাথন মনে করেন। তিনি বলেন, ‘মর্যাদার এমন শীর্ষ পদে থেকে নিজের সংসদ এলাকায় যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয় না স্পিকারদের। সেটাই ভোট-রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’ অনেক বিশ্লেষক আবার মনে করেন, প্রাক্তন স্পিকারদের ফের রাজনীতির ময়দানে না নামাই বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *