আরও বাড়বে লকডাউনের মেয়াদ? বড় ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনই লকডাউন তোলা সম্ভব নয়৷ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বদয়ীল বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ১৪ এপ্রিলের পরও লকডাউন চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ 
এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ সংসদীয় নেতাদের কাছ থেকেও তিনি তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের কী পরামর্শ, তা জানাতে চান নমো৷ তবে লকডাউন তোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷

f07d4b3307fb62978fa330a01bfc8852

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনই লকডাউন তোলা সম্ভব নয়৷ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বদয়ীল বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ১৪ এপ্রিলের পরও লকডাউন চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ সংসদীয় নেতাদের কাছ থেকেও তিনি তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের কী পরামর্শ, তা জানাতে চান নমো৷ তবে লকডাউন তোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিটি মানুষের জীবন বাঁচানোই হল সরকারের প্রধাণ লক্ষ্য৷ দেশে ‘সামাজিক জরুরি অবস্থা’ তৈরি হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে৷ আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে৷’’ কোভিড-১৯ পরবর্তী জীবন আগের মতো থাকবে না৷ করোনা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বে মানুষের জীবনযাপনে বিরাট বদল আসবে। সামাজিক বদল আসবে। সামগ্রিক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে। বিভিন্ন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পক্ষেই সওয়াল করেছেন৷ তবে লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক৷ বাড়ছে বেকারত্ব৷ যার ফলে সরকারের উপরেও একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে৷ তবে গোটা বিশ্বের যা অভিজ্ঞতা, তাতে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে লকডাউনেই আস্থা রাখতে হচ্ছে৷

এদিন ভিডিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার-সহ বিএসপি, লোকজনশক্তি পার্টির সাংসদরাও।

সূত্রের খবর, প্রয়োজন কিছু বিশেষ বিশেষ এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত রকম গণজমায়েত বন্ধ রাখা হতে পারে৷ আপাতত বন্ধ রাখা হতে পারে আন্তঃরাজ্য সড়ক পরিবহণ৷ একই রাজ্যের জেলার মধ্যে যোগাযোগের ওপর জারি হতে পারে বিধি-নিষেধ৷ বিমান ও রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ ছাড় নাও দিতে পারে কেন্দ্র৷ আগামী দু’মাসের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷ আপাতত দু’মাস শপিংমল, সিনেমাহল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকতে পারে৷ ৮০ থেকে ১০০টি চিহ্নিত হটস্পটগুলিতে বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *