নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত নাজেহাল গোটা দেশ। মহারাষ্ট্রের পর সংক্রমণ নিয়ে শিয়রে শমন রাজধানী দিল্লির। ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু জারি করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। কিন্তু এবার আর তা দিয়ে সম্ভব নয়। অবশেষে লকডাউন কার্যকরী করা হল রাজধানী দিল্লিতে। আজ রাত থেকেই ৬ দিনের লকডাউন কার্যকরী হল।
দিল্লি সরকার জানাচ্ছে, লকডাউন কার্যকরী করা হলেও সরকারি অফিস, জরুরী পরিষেবা চালু থাকবে। তবে বেসরকারি অফিসের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান অর্থাৎ বিয়ে বা অন্য যে কোন অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আলাদা ফাস্ট সংগ্রহ করতে হবে। জানা গিয়েছে আজ রাত ১০ টা থেকে আগামী সোমবার সকাল ৫ টা পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন। মূলত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি ছিন্ন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। রবিবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৪৬২, যা এখনও পর্যন্ত এক দিনে সর্বাধিক। রাজধানীতে সংক্রমণ হার পৌঁছেছে ৩০ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার বেড়েছে ৬ শতাংশ।
কিছুদিন আগেই, রাজধানী দিল্লিতে হাসপাতালের যে চিত্র ধরা পড়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল, একটি বেডে শুয়ে রয়েছেন দুইজন অথবা তিনজন করোনাভাইরাস রোগী। সকলের মুখেই অক্সিজেন মাস্ক। দিল্লির সরকারি হাসপাতালে এই চিত্র অবশ্য ভাবে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়িয়েছে হু হু করে। সম্প্রতি, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহারাষ্ট্রের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে নয়াদিল্লির। সেই প্রেক্ষিতে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে জারি হয়েছিল নাইট কার্ফু। একইসঙ্গে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জিম এবং রেস্তোরাঁ। এবার সম্পূর্ণ লকডাউনে চলে গেল রাজধানী। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৩ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ।