Aajbikel

এ যুগের মীরাবাঈ! প্রেমে বিভোর হয়ে প্রভু শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন আইনের ছাত্রী

 | 
রক্ষা

মথুরা: তিনি এ যুগের মীরাবাঈ! শ্রীকৃষ্ণ সাধিকা৷ কৃষ্ণ প্রেমে বিভোর হয়ে প্রভুকেই স্বামী রূপে গ্রহণ করলেন৷ বাঁধা পড়লেন সাত পাকে৷ শ্রীকৃষ্ণের গলায় বরমাল্য দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক তরুণী৷ বিয়ের সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালন করে কৃষ্ণ-জায়া হলেন রক্ষা সোলাঙ্কি৷ 

আরও পড়ুন- রাম মন্দিরের নির্মাণকাজের ছবি প্রকাশ্যে, উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভক্তরা

স্বপ্নে দেখেছিলেন, তিনি শ্রীকৃষ্ণের গলায় মালা দিচ্ছেন৷ কয়েক দিনের মধ্যেই সেই স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দেন রক্ষা৷ অগ্নিসাক্ষী রেখে শ্রীকৃষ্ণের গলায় মালা দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বছর ৩০-এর এই তরুণী৷  


রক্ষার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া গ্রামে। তিনি আইনের ছাত্রী৷ আগাগোড়াই কৃষ্ণ প্রেমে পাগল৷ কিছু দিন আগেই রক্ষা স্বপ্নে দেখেন, তিনি কৃষ্ণকে বিয়ে করছেন। সেই স্বপ্নের কথা বাড়িতেও জানান৷ রক্ষার বাবা অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক রঞ্জিত সিং মেয়ের স্বপ্নের কথা জানার পরই তাঁকে নিয়ে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে গিয়েই রক্ষা ঠিক করেন, তিনি শ্রীকৃষ্ণকেই স্বামী হিসাবে গ্রহণ করবেন।

জানা গিয়েছে, এক বছর আগে বাবার সঙ্গেই প্রথমবার বৃন্দাবন গিয়েছিলেন রক্ষা৷ সেখানে যাওয়ার পরই তিনি আরও বেশি করে কৃষ্ণ প্রেমে মজেন৷ সম্প্রতি রক্ষা যখন নিজের মনের কথা বাবাকে জানান, তখন তিনি মেনে নিতে পারেননি৷  ইশ্বরের সঙ্গে মেয়ের এই গাঁটবন্ধনের সিদ্ধান্তে প্রথমে রাজি ছিলেন না রঞ্জিত৷ পরে অবশ্য মেয়ের জেদের কাছে হার মানেন৷ কৃষ্ণের সঙ্গে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। 


গত শনিবার ধূমধাম করে রক্ষার বিয়ে দেন তাঁর বাবা রঞ্জিত সিং। আউরিয়ায় নিজেদের বাড়িতেই আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানের। বিয়ের শোভাযাত্রা সহ সমস্ত ধরনের আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়৷ গত ১১ মার্চ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি নিয়ে বরযাত্রীরা এসে পৌঁছান রক্ষার বাড়িতে৷ এর পর তাঁরা যুগলে উপস্থিত হন বিয়ের মণ্ডপে। প্রথা মেনেই কৃষ্ণ মূর্তি কোলে নিয়ে আগুনের চারপাশে সাত পাক ঘোরেন রক্ষা। নতুন জামাইবাবুকে পেয়ে অপ্লুত রক্ষার বোন। হাসিমুখে বলেন, “আজ থেকে ভগবানও আমাদের আত্মীয় হয়ে গেলেন।”

এদিন রাধার মতো সেজেছিলেন রক্ষা। কৃষ্ণের মূর্তি পাশে নিয়ে বসেন বিয়ের পিড়িতে৷ যজ্ঞের আগুনকে সাক্ষী রেখে তার চারপাশে সাত পাক ঘোরেন। কৃষ্ণের নাম নিয়ে নিজেই সিঁদুর পরেন। নিয়ম মেনেই বিয়ের আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। রক্ষার বাবা বলেন, ‘‘ভগবানের প্রতি ওঁর ভালোবাসা দেখে আমি আর আপত্তি করতে পারিনি৷ আমি চাই মেয়ে ভাল থাকুক। ও যদি ভগবানের পায়ে নিজেকে সমর্পণ করে ভাল থাকে, তাহলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’’ বিয়ের পর খুশি রক্ষাও৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এই সিদ্ধান্তে আমার পরিবারকে পাশে পেয়েছি৷ আমি খুব খুশি। বাকি জীবনটা স্বামীর সেবায় কাটিয়ে দিতে চাই। এটা ভেবে আমার আরও ভাল লাগছে যে, এখন থেকে ভগবান আমাদের আত্মীয়।’’ 


 

Around The Web

Trending News

You May like