দিসপুর: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ ঘরবন্দি৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘরে থেকেই একমাত্র করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করা সম্ভব৷ আর দরকার প্রচুর পরিমাণে টেস্টের৷ দেশ জুড়ে লকডাউনের জেরে একদিকে যেমন দিনআনা দিন খাওয়া মানুষ বিপাকে পরেছেন, তেমনি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক অর্থ৷ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার হোম তহবিলে দান করার আবেদন করেছেন স্থানীয় মানুষের কাছে৷ পিগি ব্যাঙ্ক ভেঙে ৩৩৩ টাকা দান করল মিজোরামের সাত বছরের বালক৷
টুইটারে মানস নামের এক ব্যক্তি টুইট করে জানিয়েছেন, মিজোরামের রোমেল৷ মাত্র সাত বছর বয়স? নিজের পিগিব্যাঙ্ক ভেঙে তাদের গ্রামের টাস্ক ফোর্সকে দান করল৷ অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম৷ উত্তর-পূর্ব ভারতে করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত দুই জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ একজন মিজোরাম ও একজন মনিপুরের বাসিন্দা৷ কিন্তু সাবধনতার কোনও ছাড় দিতে চায় না কোনও রাজ্য৷ আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে৷ মিজোরামেও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে৷ নিজের গ্রামে টাস্ক ফোর্সকে নিজের পিগিব্যাঙ্ক ভেঙে ৩৩৩ টাকা দান করল রোমেল৷
অন্যদিকে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদ ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন৷ উমর খালিদ লিখেছেন, বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার ধারণ করেছে করোনা৷ তাতেই লকডাউন৷ এই পরিস্থিতিতে নিজের পিগিব্যাঙ্ক ভেঙে যা সঞ্চয় ছিল তাই পুলিশ স্টেশনে দান করল ছয় বছরের বালক৷ এই দুটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করার পরেই মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়েছে৷ দুই খুদেকে কুর্নিশ করেছে দেশবাসী৷