নয়াদিল্লি: ইউনিক আউডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা UIDAI- এর দ্বারা জারি করা ১২-সংখ্যার আধার নম্বর দেশের নাগরিকদের জন্য একটি বৈধ প্রমাণ হিসাবে কাজ করে সরকারী ভর্তুকি বা অনুদান গ্রহণের জন্য৷ এই আধার ব্যবহার করা যেতে পারে তিনভাবে৷ চিঠি, ইআধার এবং পিভিসি কার্ড এবং এই তিনটি ধরণই সমানভাবে বৈধ। “বাসিন্দারা তাদের সুবিধার্থে আধারের যে কোনও প্রকারের ব্যবহার বেছে নিতে পারেন এবং আধারের এই তিন প্রকারের ব্যবহারই যথাযথ বৈধতার সঙ্গে পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানাল ইউনিক আউডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা UIDAI৷ নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে এমনটাই জানায় UIDAI৷
আসুন, একঝলকে দেখে নেওয়া যাক আধারের অন্যান্য প্রকারের ব্যবহার:
আধার চিঠি: আধার চিঠি পোস্টের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। আধার তৈরি হয়ে গেলে আপনি নিবন্ধিত মোবাইলে একটি এসএমএসও পাবেন৷
ই- আধার: UIDAI এর ওয়েবসাইড থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যেতে পারে ই-আধার৷ একটি ই-আধার কার্ড আপনার আধার তথ্যটি সুরক্ষিতই থাকে। এটি আধার কার্ডের একটি ডিজিটাল সংস্করণ, এবং কোনও ব্যতিক্রম ছাড়াই সারা দেশে এটি গ্রহণযোগ্য। ই-আধারটি পিডিএফ আকারে থাকে।
কী করে খুলবেন এই ই-আধারের পিডিএফ?
পিডিএফ খোলার জন্য আপনার একটি পাসওয়ার্ড লাগবে। পাসওয়ার্ডটি আপনার নামের প্রথম চারটি অক্ষর বড় হাতে লিখতে হবে এবং জন্মের বছর দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ: যদি আপনার নাম ভারতী শুক্লা এবং আপনার জন্ম বছর 1990 হয় তবে পাসওয়ার্ডটি BHAR1990 হবে।
আধার পিভিসি কার্ড: নতুন আধার পিভিসি কার্ডটি বর্ধিত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য সহ আসে এবং এটি বহন করা আরও সুবিধাজনক। সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে ফটোগ্রাফ এবং ডেমোগ্রাফিক বিশদ সহ কিউআর কোড, হলোগ্রাম, প্রার্থীর ছবি, মুদ্রণের তারিখ, একটি আধার লোগো রয়েছে। UIDAI এটিকে পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) কার্ড হিসাবে পুনরায় মুদ্রণের অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং, এখন আপনি নিজের এটিএম বা ডেবিট কার্ডের মতোই আপনার ওয়ালেটে আধার কার্ডটি বহন করতে সক্ষম হবেন।