২৫ শতাংশ ভারতীয়কেও ফেরানো যায়নি এখনও! কেন্দ্র তোপের মুখে

২৫ শতাংশ ভারতীয়কেও ফেরানো যায়নি এখনও! কেন্দ্র তোপের মুখে

7a095e074672453c87653276f50f893c

নয়াদিল্লি: যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর কাজ বিগত ৬ দিন ধরেই করছে ভারতের মোদী সরকার। অনেকে ফিরলেও এখনও পর্যন্ত একটা বড় অংশ দেশে ফিরতে পারেনি। তার মধ্যে আবার একজন ভারতীয়র ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ব্যাপক উদ্বেগজনক। এই ইস্যুতে এখন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। বিগত ছ’দিন ধরে নাকি ইউক্রেন থেকে ২৫ শতাংশ ভারতীয়কেও ফেরাতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার! এই তথ্য দিয়েই মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা।

আরও পড়ুন- সম্মুখ সমরে রাশিয়া-ইউক্রেন, এই যুদ্ধের নেপথ্য কারণ কী?

বর্ষীয়ান এই নেতা জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালীন কুয়েত থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভারতীয়কে মাত্র ১০ দিনে দেশে ফিরিয়েছিল তৎকালীন ভারতের কংগ্রেস সরকার। এয়ার ইন্ডিয়ার সেই অপারেশন নাম তুলেছে গিনেস বুকে। অথচ ইউক্রেন থেকে গত ছ’দিনে ১৮ থেকে ২০ হাজার ভারতীয়কে ফেরাতে পারেনি বিজেপি সরকার। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভারতীয় ফেরেনি ইউক্রেন থেকে। যশবন্তের কথায়, ভারত আগে যা যা করেছে তার তুলনায় ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের সংখ্যা সামান্যই। তাও তাদের উদ্ধার করতে পারছে না মোদী সরকার, ৬ দিন হয়ে গেলেও। এই ইস্যুকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তারা দেখছে না বলেই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, ঢিলেমি দিচ্ছে মোদী সরকার।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনে আটকে পড়া একাধিক ভারতীয় দেশের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে। পরিষেবা মিলছে না, কোনও যোগাযোগ করা হচ্ছে না, এই ধরণের অভিযোগে সরব তারা। আবার ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সব ইস্যুকে সামনে রেখেই বিরোধীদের তোপ, ভারতীয় দূতাবাসের উচিত ছিল আগেভাগে সব ভারতবাসীকে সীমান্তে পাঠানোর। পরিস্থিতি যে খারাপ হচ্ছে তার আন্দাজ আগে থেকেই মিলেছিল। এদিকে এতদিন বাদে সরকার চারজন মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে না পাঠিয়ে, আরও আগে পাঠাতে পারত। মোদী সরকারের দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে বলেই দাবি তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *