কলকাতা: রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনে সিপিএমের বর্তমান দুই এমপি মহম্মদ সেলিম ও বদরুদ্দোজা খানের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার কৌশল প্রাথমিকভাবে কাজে দিল বাম শিবিরে।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনভর দফায় দফায় নিজে এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ময়দানে নামিয়ে আলোচনা চালানোর পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ওই দুটি আসনে কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে সেই বার্তা জানিয়েও দিয়েছেন কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গৌরব গগৈ। গগৈ ও ইয়েচুরি এই বার্তা তাঁদের দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছেন। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত কোনওপক্ষই এনিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। কংগ্রেসের তরফে গৌরব শুধু বলেছেন, উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে দুই শিবিরের আসন সমঝোতার উদ্যোগ গোড়াতেই যেভাবে ধাক্কা খেতে বসেছিল, আপাতত তাতে যবনিকা পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস ও বাম শিবিরের জোটপন্থী নেতৃত্ব রাহুলের এই পদক্ষেপে কার্যত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। সিপিএম ও ফ্রন্টের অন্যান্য শরিকদের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, দলের দু-একজন নেতানেত্রীর ব্যক্তিগত জেদকে আমল না দিয়ে শেষ পর্যন্ত রাহুল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা বাস্তবোচিত। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, এখনও সার্বিক বোঝাপড়ার রাস্তা পেরতে অনেক সময় লাগবে। কারণ, প্রদেশ কংগ্রেস অন্তত ১৬-১৭টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। গোটা রাজ্যেই তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রার্থী দিতে আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছে। তাই মোট ক’টি আসনে এবং কোন কোন কেন্দ্রে তারা লড়বে, তা নিয়ে নতুন করে জট তৈরির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে হয়তো শেষমেশ ফের রাহুলকেই আসরে নামতে হতে পারে।