নয়াদিল্লি: চিনা দূতাবাসের ডাকা একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বিতর্কে বামফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতা। আসলে শতবর্ষে পা দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। সেই প্রেক্ষিতেই দিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দেশের কয়েকজন বাম নেতাকে। সেই বাম নেতাদের মধ্যে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে ডি রাজার মতো ব্যক্তিত্ব। এই ইস্যুতে এবার ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। উল্লেখ্য, এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খোদ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চিনের সঙ্গে ভারতের এই মুহূর্তে সম্পর্ক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা সকলেরই জানা। সেই আবহে বাম নেতাদের এইভাবে চিনের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ মোটেই ভাল ভাবে দেখছে না ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। এই অংশগ্রহণ ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, বাম নেতাদের চিনের ওপর ভরসা আছে কিন্তু ভারতের উপর নেই। বাম নেতারা প্রথম থেকেই চিনতে সমর্থন করে এসেছে আর এখনও করছে। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ অনিল জৈন বলেন, বাম নেতাদের আগে ঠিক করতে হবে যে তারা কাকে সমর্থন করবে। এইভাবে চিনের ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দেওয়া বিশ্বাসঘাতকতার সমান! তার বক্তব্য, এইভাবে চিনের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বাম নেতারা। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ! শহর থেকে গ্রেফতার নায়িকা এবং তার সঙ্গী
যদিও এই আলোচনা সভায় যোগ দেওয়া বাম নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে মিল থাকার কারণেই এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তারা। এর সঙ্গে অন্য কিছুর কোনরকম কোন সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের ১৬০টি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ভারতের হয়ে যোগ দিয়েছিলেন, সিপিএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই-এর ডি রাজা, লোকসভা সাংসদ এস সেন্থিলকুমার, অল ইন্ডিয়া ফরোয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জি দেবরাজন।