৩৭৭ রুখেছিলেন তাঁরা, এবার শুরু সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার লড়াই

৩৭৭ রুখেছিলেন তাঁরা, এবার শুরু সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার লড়াই

 

নয়াদিল্লি:  ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর৷ এক ঐতিহাসিক রায়ে ‘১৫৬ বছরের’ নিপীড়ন থেকে রামধনু পতাকাকে মুক্তি করে সমকামিতাকে স্বীকৃতি দেয় সু্প্রিম কোর্ট৷ স্রোতের বিপরীতে ছুটে এক কঠিন লড়াইয়ের পর ৩৭৭ ধারায় সমকামিতাকে অপরাধমুক্ত বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত৷ এই পরিবর্তনের নেপথ্যে আইজীবী তথা ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গী অরুন্ধতী কাটজু এবং মেনকা গুরুস্বামীর অবদান ছিল অনস্বীকার্য৷ এবার আরও একটি পরিবর্তনের জোয়ার আনতে চলেছেন তাঁরা৷ ভারতে সমলিঙ্গের বিয়ের অধিকারকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়ার লড়াইয়ে নামছেন অরুন্ধতী এবং মেনকা৷  

আরও পড়ুন- অধিগ্রহণ-প্রযুক্তি জট! মোদীর বুলেট ট্রেন আসতে কমপক্ষে ২০২৮

অক্সফোর্ড ইউনিয়নে একটি বক্তৃতায় কাটজু এবং গুরুস্বামী জানান, ভারতে বৈবাহিক সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ ম্যারেজ প্রোজেক্টের মাধ্যমে এবার সামাজিক এবং আইনত দিক দিয়ে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষদের সমান অধিকার দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য৷ তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা শুধুমাত্র একটি সমাজের পরিবারের অংশ নই৷ আমাদের একটি বৈবাহিক সমাজও আছে৷ আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্রটা হল সমকামী বা বিপরীতকামী (স্ট্রেট), ডানহাতি হোক বা বামহাতি মানুষ, সকলেই মধ্যে একটা জিনিস সাধারণ, আর তা হল ভালোবাসা৷ যাঁরা ভালোবাসাকে খুঁজে পান, তাঁরা চান আইনত এবং সামাজিক স্বীকৃতি, সুরক্ষা এবং সমর্থন৷ যার একমাত্র উপায় হল বিয়ে৷’’ 

আমাদের সমাজে এখনও ভিন জাত বা ভিন ধর্মের বিয়েকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাতে পারেনি৷ সেখানে দাঁড়িয়ে সমকামী সম্পর্কে বিবাহের সিলমোহর দেওয়া এক কঠিন চ্যালেঞ্জ৷ এহেন এক সামাজিক পরিকাঠামোয় ম্যারেজ প্রকল্পটি অবশ্যই কষ্টসাধ্য কাজ৷ তবে সমকামী বিবাহের জন্য আইনের স্বীকৃতি আদায় করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মন্তব্য করেন এই দুই আইনজীবী৷ অরুন্ধতী সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজুর আত্মীয়া। আর রাজনৈতিক চিন্তাবিদ মোহন গুরুস্বামীর মেয়ে মেনকা।

আরও পড়ুন- বেঙ্গালুরুতে পুনঃসংক্রমণ! সুস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত ২৭ বছরের তরুণী

 
ব্রিটিশ আমলের আইনে ৩৭৭ ধারায় সমকামকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করে হয়েছিল৷ ২০১৮ সালে এর বিরুদ্ধে লড়াই করে জেতেন অরুন্ধুতি কাটজু এবং মেনকা গুরুস্বামী৷ তবে আইনি স্বীকৃতিই তো শেষ কথা নয়। সামাজিক ভাবে, সম্মানের সঙ্গে ভালবাসার অধিকার আদায় করে নেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − five =