চণ্ডীগড়: নতুন বছরের প্রথম দিন পরপর দুর্ঘটনার খবর সামনে আসছে। একদিকে বৈষ্ণদেবী মন্দিরের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা, অন্যদিকে, হরিয়ানায় একটি খনি অঞ্চলে ভূমিধস। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর এবং কমপক্ষে ২০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এ দিন সকাল ১০টা-১১টা নাগাদ আচমকাই হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় একটি খনি অঞ্চলে ভূমিধস নামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অবধি তিনজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। যার মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ধসের কারণে বেশ কিছু গাড়ি আটকে পড়েছে এবং খনিজ উত্তোলনে বড় বড় যে মেশিনগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও পাথরের মাঝে আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিখোঁজদের যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জেপি দালাল। এমনকি ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের একটি দল নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও খবর। তবে হঠাৎ ভূমিধস কী ভাবে হল তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান, পাহাড় কাটতে গিয়েই এই বিপর্যয় ঘটেছে। ভিওয়ানি জেলার তোসাম ব্লকের দাদাম এলাকায় পাহাড় ভাঙার কাজ চলছিল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের তরফে দাদাম খনি অঞ্চল ও খনক পাহাড়িতে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল দুই মাসের জন্য। গত বৃহস্পতিবারই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ১৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ভিড় হয় এখানে। হেঁটে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার যেতে হয় বৈষ্ণোদেবীর দর্শন পাওয়ার জন্য।এবার সেই পথেই ভিড়ের কারণে ধাক্কাধাক্কি হয়। তারপরেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।