vikram
নয়াদিল্লি: অবতরণ পিছিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও ইসরো আপাতত পূর্ণ চেষ্টা করছে বুধবার নির্ধারিত সময়েই চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানোর। যদিও এক্ষেত্রে বিশাল সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক ধাপে, ল্যান্ডারের গতি বারবার পরিবর্তন করে এই অবতরণ করানো হবে। কোনও জায়গায় যাতে কোনও রকম ত্রুটি না হয়, সেই চেষ্টাই করছে ইসরো। এছাড়া ল্যান্ডিংয়ের সময়ে ব্যবহার করা হবে লেজার রশ্মি।
ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। কারণ সেখানে জমি খুবই অমসৃণ। বড় বড় গর্ত, খাদ, সবই আছে। তাই চাঁদের মাটিতে লেজার রশ্মি ফেলে সেন্সরের মাধ্যমে অবতরণের জন্য উপযুক্ত ভূমি খুঁজবে বিক্রম। কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক ধাপে তাকে ধীরে ধীরে নামানো হবে চাঁদের মাটিতে। ইসরো মারফত জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিক্রম চাঁদের মাটি থেকে ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ভাসছে। আগামী কাল প্রথম ধাপে বিক্রমকে ৭.৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। তারপর ৬.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় আসবে সে। এর পর চাঁদ থেকে বিক্রমের উচ্চতা কমে হবে ৮০০ মিটার। প্রতি ক্ষেত্রেই তার গতিবেগ নির্দিষ্ট করা হবে। আস্তে আস্তে কমানো হবে বিক্রমের গতি।
সর্বশেষে ৬০ থেকে ১০ মিটারে নামার সময়টা সবথেকে বেশি কঠিন। এর আগের অভিযান অর্থাৎ চন্দ্রযান ২ ঠিক এই জায়গাতেই অসফল হয়েছিল। তাই এবার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে চাঁদে অবতরণের। তবে এবার প্রশ্ন, চাঁদে নামার পর চন্দ্রযানের মূল কাজ কী হবে। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে নেমে ঠিক কোন কাজ করবে? চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে চন্দ্রযান-৩ গবেষণার জন্য নানা তথ্য সংগ্রহ করবে ১৪ দিন ধরে। মূলত দক্ষিণ মেরুতে জল আছে কি না, বা সেই জায়গা মানুষের বসবাসের যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযান ৩।