তিন মাসেরও তেল মজুত নেই দেশে! কেন্দ্রের তথ্য বিষম খাওয়াবে

তিন মাসেরও তেল মজুত নেই দেশে! কেন্দ্রের তথ্য বিষম খাওয়াবে

296484134b01bad8da159d6c8bfb7152

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিনে লাগাতার বেড়েছে জ্বালানির দাম। সাধারণ মানুষের এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা। তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকার যে তথ্য দিয়েছে তাতে চক্ষুচড়কগাছ সকলের। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যের কারণ নিয়ে তাই ধোঁয়াশা আরও বাড়ছে। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে তিন মাসেরও তেল মজুত নেই ভারতে! এই তথ্য জানার পর প্রায় স্তম্ভিত সকলে।

আরও পড়ুন- জ্বর, সংক্রমণ, হৃদরোগ সহ বাড়ছে ৮০০টি ওষুধের দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

বৃহস্পতিবার সংসদে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। স্পষ্ট জানান হয়েছে, ভারতে আর বাকি আছে মাত্র ৭৪ দিনের জ্বালানি। সৌগত জানতে চান যে, এই মুহূর্তে দেশে মজুত তেলের পরিমাণ ঠিক কতটা? কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে সেই পরিমাণ তেল দিয়ে কতদিন কাজ চালানো আদৌ সম্ভব হবে কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে ৫.৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল মজুত আছে। যা দিয়ে প্রায় ১০ দিন দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলির কাছে যা তেল মজুত আছে তাতে আরও ৬৪ দিন চলে যাবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মজুত তেলের পরিমাণ ৭৪ দিন যাবে।

শেষ কয়েকদিন ধরে রোজই একটু একটু করে বাড়ছে তেলের দাম। আর তাই নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে আজ তাদের তরফে যে তথ্য দেওয়া হল তাতে কার্যত হতভম্ব বিরোধীরাও। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো এত বড় দেশে মাত্র এই ক’দিনের জ্বালানি থাকা অত্যন্ত বিপদজ্জনক বিষয়। তবে অনেকেই মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার জানিয়েছিল, রাশিয়া থেকে ভারতে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়, তা মোট আমদানির এক শতাংশেরও কম।

আরও পড়ুন: জ্বালানির ছ্যাঁকা! ফের বাড়ল তেলের দাম, সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ডিজেল

কিন্তু এখানেও একটা প্রশ্ন উঠে আসছে যা কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে। দেশে জ্বালানির স্টক হঠাৎ এত কমে গেল কী ভাবে তার উত্তর তাদের কাছে নেই। যে কোনও দেশেই অন্তত তিন মাস বা ৯০ দিনের জ্বালানি মজুত করে রাখে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ভারতে তা এইভাবে কমে গেল কেন সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *