নয়াদিল্লি: মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হাই ভোল্টেজ বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ সাংহাই কো-অপারেশনের সম্মেলনের মাঝেই মুখোমুখি হতে চলেছেন তাঁরা৷ এই বৈঠকের আগে লাদাখ পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত গম্ভীর’ বলে উল্লেখ করলেন বিদেশমন্ত্রী৷ সমস্যা সামাধানে রাজনৈতিক স্তরে দু’তরফে গভীর আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- লাদাখ সীমান্তে চলল গুলি, চিনের অভিযোগ হাওয়ায় ওড়াল ভারতীয় সেনা
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সীমান্ত পরিস্থিতির থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পৃথক করা যায় না৷ সীমান্তে কী ঘটছে, তার প্রভাব দু’দেশের সম্পর্কে উপর পড়ছে৷ গালওয়ান উপত্যকায় যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে আমি আগেও উল্লেখ করেছি৷’’ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এসসিও-র বৈঠকের ফাঁকেই আলোচনার টেবিলে বসবেন দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী৷ ওই বৈঠকে চিনকে ঠিক কী বার্তা দিতে চলেছেন জয়শঙ্কর? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি চিনের বিদেশমন্ত্রীকে ঠিক কী বলব, তা আপনাদের বলা সম্ভব নয়৷’’ তবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে শান্তি ফেরানোর যে প্রয়োজন রয়েছে, তা উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী। এর ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও দাবি করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- এবার রিয়েল টাইমে চলবে ট্রেন, নতুন অ্যাপের ভাবনা রেলের
গত মে মাস থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি৷ মে মাস থেকেই সীমান্তে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে চিন৷ গত ১৫ জুন দু’দেশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান৷ মৃত্যু হয় চিনা সেনারও৷ তবে এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি বেজিং৷ আমেরিকান ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট অনুসারে, গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৫ জন চিন সেনা৷ চিনের সঙ্গে ১৯৯৩ সাল থেকে যে যে চুক্তি হয়েছে, সে বিষয়টিও এদিন উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর৷ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘এই বিষয়গুলি যদিন পর্যবেক্ষণ করা না হয়, তাহলে খুবই গুরুতর প্রশ্ন উঠে আসে৷ গত মে মাস থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উভয় দেশের মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে গভীর আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে৷’’