বেঙ্গালুড়ু: সারা দেশ লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে, চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন তার মধ্যে নিজের ছেলের বিয়ে দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌরার নাতির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে কংগ্রেস নেতা এম কৃষ্ণাপ্পার নাতনি রেবতীর। বাগদান পর্ব গত ফেব্রুয়ারিতেই মিটে গিয়েছিল। শুক্রবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দু’জনে। কর্ণাটকের রামনগরা এলাকার এক ফার্মহাউসে বসেছিল এই হাইপ্রফাইল বিয়ের আসর। কুমারস্বামীর ছেলে বলে কথা তার বিয়েতে জাঁক না করলে হয় তাই সারা দেশ যখন লকডাউনের কড়া অনুশাসনে থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন এই বিয়ের ছবি দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ ।
তবে লকডাউনের মাঝে কিনা যেখানে আম জনতার দৈনন্দিন জীবন যাপনে ছেদ পড়েছে, সেখানে সমাজের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে কুমারস্বামী কীকরে ছেলের বিয়ের আয়োজন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। তবে লকডাউনের নিয়ম মেনেই নাকি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে বিয়ের অনুষ্ঠান বেঙ্গালুরু সংলগ্ন জনপদলোকে হওয়ার কথা থাকলেও পরে শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে রামানাগারার ফার্ম হাউসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কুমারস্বামী পরিবারের দাবি লকডাউনের কারণে এই নিয়ে তিনবার বিয়ের জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রথমে জাঁকজম করে বিয়ের আয়োজনের কথা থাকলেও লকডাউনের কারণে নাকি তাতে কাটছাট করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মাস্ক পরে আসা নাকি বাধ্যতামূলক। অনুষ্ঠান বাড়িতে থাকবে চিকিত্সয়ক-সহ একটি মেডিক্যাল টিম। তাঁরা আমন্ত্রিতদের শারীরিক পরীক্ষা করে তবেই ঢুকতে দেবেন অনুষ্ঠানে। এই ফার্ম হাউসে থাকছে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, ডিকন্টামিনেশন বুথ। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানে ৭৫ জনকে আমন্ত্রিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে ছেলের বিয়ে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আগেই বর্তমানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কুমারস্বামী। জানা যাচ্ছে, রাজ্যে লকডাউনের মধ্যেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুয়াপ্পা এর আগেও ২২ মার্চ আরেকটি বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাই লকডাউনের নিয়ম মেনে অভিনেতা নিখিলের বিয়েতে আপত্তি করেননি তিনি।