নয়াদিল্লি: প্রথমে বিজেপি তারপর কংগ্রেস ঘুরে এখন হয়তো তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কীর্তি আজাদ হয়তো ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন। আপাতত দিল্লি সফরে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বটে। জল্পনা মমতার এই দিল্লি সফরের মাঝেই কীর্তি আজাদ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর যে একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তার ইঙ্গিত আগে থেকেই মিলেছিল। একদিকে মমতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ করার কথা। সেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের একাধিক ইস্যু এবং বিএসএফ সম্পর্কিত আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে জানা গিয়েছিল যে, বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও মমতার হাত ধরে দলবদল করতে পারেন। আপাতত সেই জল্পনাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজধানীর রাজনৈতিক অন্দরমহলে। অবশেষে আজ আনুষ্ঠানিক যোগদান হয় কিনা সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, কীর্তি আজাদ কপিল দেবের সতীর্থ ছিলেন এবং খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে দুবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু দলের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করে বিজেপি। পরে তিনি কংগ্রেসের যোগ দেন কিন্তু এবার সেই দল ছেড়ে মমতার দলে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি।
এদিকে আবার দিল্লি সফরের প্রথম দিনই অন্ধকারে কাটলো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়। প্রায় ৪৫ মিনিট তিনি আঁধারে ছিল না বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্থায়ী ঠিকানা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলো ১৮৩, সাউথ অ্যাভিনিউ। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তিনি অন্ধকারে থাকলেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে সেই সময় কারেন্ট ছিল না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সরবরাহকারী সংস্থা এনডিএমসি। উল্লেখ্য, এই সংস্থা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের অধীনস্থ। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যান এই বাড়িতে। বিকেলে সব ঠিক থাকলেও সন্ধের পর হঠাৎ এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।