বিধানসভায় খলিস্তানি পতাকা, ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বিধানসভায় খলিস্তানি পতাকা, ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বিগত কয়েক দিন ধরেই খলিস্তানি প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল দেশ। গত সপ্তাহেই খলিস্তান বিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নেয় পঞ্জাবের পাতিয়ালা। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ হয় যে পুলিশকে বিক্ষুব্ধ জনতাদের বাগে আনতে শূন্যে গুলি পর্যন্ত চালাতে হয়েছিল। এই ঘটনার পর এক সপ্তাহও কাটেনি। তার মধ্যেই রবিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার গেটে টাঙ্গানো হল একের পর এক খলিস্তানি পতাকা। সেইসঙ্গে বিধানসভার সাদা পাঁচিলে সবুজ কালি দিয়ে খলিস্তানি বার্তাও লেখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শনিবার রাতের অন্ধকারে কিংবা ভোর হওয়ার ঠিক আগে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে বিষয়টি রবিবার সকালে প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাংড়ার এসপি কুশল শর্মা জানিয়েছেন, ‘গভীর রাতে বা ভোরের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিধানসভার গেট থেকে পতাকাগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে টুইটারে বার্তা দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর টুইটারে লেখেন, ‘ধর্মশালার উত্তরের ফটকে রাত্রের অন্ধকারে খলিস্তানি পতাকা লাগানোর ঘটনাটির আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আপাতত এই বিধানসভায় কেবলমাত্র শীতকালীন অধিবেশনে হয়। সুতরাং আগামী দিনে এই বিধানসভায় আরও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’

অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে ধর্মশালার এসডিএম শিল্পী বাগদা বলেছেন, ‘ইতিমধ্যেই কেস দায়ের করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। হিমাচল প্রদেশের খোলা জায়গায় এই ধরনের ঘটনায় যে আইন ভঙ্গ হয়েছে সেটা ‘হিমাচল প্রদেশ ওপেন প্লেস 1985′ আইনের আওতায় পড়ছে এবং সেই আইনের ধারা অনুযায়ী কেস ধার্য করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে আমরা অ্যালার্ট থাকব।’

 উল্লেখ্য, রবিবার সকালে বিধানসভা চত্বরে যারা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তাঁরাই প্রথম বিষয়টি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কাউকে রেয়াত করা হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − five =