কেরল: গাড়ির বিভিন্ন মডেল তৈরি করে কেরলের রাকেশ বাবু এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন পরিচিত মুখ। ২৯ বছ বয়সি রাকেশ পেশায় মেকানিক, ছোটবেলা থেকেই গাড়ির প্রতি তাঁর আসক্তি ছিল প্রবল৷ এর আগে নানা গাড়ির মিনিয়েচার মডেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এবার রাকেশ নিজের গড়া রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন৷ এর সঙ্গেই ভেঙে ফেলেছেন চিন থেকে আমদানি করা আস্ত একটা ইলেকট্রিক বাইকও৷ এখন তিনি দেশের এক সংস্থার হয়ে একটা ইলেকট্রিক বাইক বানাচ্ছেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে সংস্থা তার পেটেন্ট নেবে এবং বাজারে বিক্রির জন্য বাইকটি লঞ্চ করবে। চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় সংস্থার নাম প্রকাশ করেননি রাকেশ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে যে ভিডিওটি তিনি আপলোড করেছেন, তাতে প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে তাঁর তৈরি করা বাইকের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এদেশের রাস্তার চালাবার জন্য চিন থেকে আমদানি করা একটা ইলেকট্রিক বাইক ভেঙে নতুন করে তা অ্যাসেম্বল করছেন বলে জানিয়েছেন রাকেশ৷ মূল বাইকের ছিল কাফে রেসার বডি, তিনি তার বদলে নিয়ে এসেছেন টু-সিটার রোডস্টার ডিজাইন। আর বাইকের সামনের অংশে ব্যবহার করেছেন হন্ডা ইউনিকর্নের মডেল। একই সঙ্গে মূল বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্ক আর সাইড প্যানেলও তিনি খুলে নিয়ে নতুন ফুয়েল ট্যাঙ্ক আর সাইড প্যানেল যুক্ত করেছেন। সামনের এবং পিছনের চাকার ক্ষেত্রে তিনি বসিয়েছেন মোটা টায়ারওয়ালা স্পাইক হুইল।
এর সঙ্গেই দু’জনের একসঙ্গে স্বচ্ছন্দে বসার জন্য বাইকের খাঁচাটাকেও আর একটু বাড়িয়েছেন তিনি৷ ঠিক সে ভাবেই বদলানো হয়েছে বাইকের হেডলাইট, টার্ন ইন্ডিকেটর আর টেইল লাইটও৷ শুধু তাই নয়, মরচে পড়া থেকে বাইকটিকে বাঁচাতে মাডগার্ড, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, সাইড প্যানেল-সহ পুরো খাঁচাটাই তিনি নতুন করে রং করেছেন। ভারতের বাজারের ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে চেরি লাল আর কালো রঙের মাধ্যমে রাকেশ এই বাইক সাজিয়ে তুলেছেন। তবে এই ইলেকট্রিক বাইকের পারফরম্যান্স কেমন হবে, সে নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন রাকেশ৷