তিরুবনন্তপুরম: শিয়রে নির্বাচন। তার ঠিক আগে ফের সোনা পাচার মামলায় ফাঁপড়ে কেরলের বাম সরকার। এক বছর আগে কেজি কেজি সোনা ও ডলার পাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল কেরলের রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের একাধিক অফিসারের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছিল পিনারাই বিজয়ন সরকার। ভোটের মুখে ফের বাড়ল অস্বস্তি৷ তদন্তের মুখে বোমা ফাটালেন সোনা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ৷
আরও পড়ুন- করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি! কমিশনের জবাব তলব
এদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বপ্না কাস্টমস অফিসারদের বলেন, সোনা এবং ডলার পাচার মামলায় গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ কনসুলেট জেনারেলের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল তাঁর৷ শুধু তাই নয়, স্বপ্না আরও বলেন, বিজয়ন সরকারের মন্ত্রিসভার আরও তিন সদস্য ডলার পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্য বিধানসভা স্পিকার পি শ্রীরামকৃষ্ণনও৷ যেহেতু পিনারাই বিজয়ন আরবি বুঝতে পারতেন না, সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী এবং কনসুলেট জেনারেলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ছিলেন স্বপ্না সুরেশ৷ স্বপ্না তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং বাকি মন্ত্রীরা এই চুক্তির জন্য কোটি কোটি টাকা কমিশন পেয়েছিলেন৷
সোনা পাচার মামলায় স্বপ্না সুরেশ বোমা ফাটানোর পরই কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেনিথালা বলেন, সোনা পাচার ও ডলার চোরাচালানের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের আনা সমস্ত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি এবং এলডিএফ উভয়েই এই মামলায় জড়িত রয়েছে৷ সোনা পাচার মামলায় স্বপ্না সুরেশের নাম প্রকাশ্যে আসতেই কেরল রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল৷ এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বপ্নার ছবিও ভাইরাল হয়ে যায়৷
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ল প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম, বাড়তি কড়ি গুণতে হবে লোকাল ট্রেনেও
স্বপ্না সুরেশের জন্ম সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবিতে৷ সেখানেই পড়াশোনা তাঁর৷ প্রথমে তিনি বিমানবন্দরে চাকরি করতেন৷ এর পর ২০১৩ সালে ভারতে চলে আসেন স্বপ্না৷ এখানে এসে যোগ দেন এয়ার ইন্ডিয়াতে৷ ২০১৬ সালে জালিয়াতি মামলায় অপরাধ দমন শাখা তদন্ত শুরু করতেই তিনি ফের আবু ধাহিতে ফিরে যান৷ সেখানে কনসুলেট জেনারেলের কনসাল সচিব পদে যোগ দেন৷