সপরিবারে ভ্রমণের ইচ্ছা, নিজের হাতে আস্ত প্লেন বানালেন কেরলের যুবক

সপরিবারে ভ্রমণের ইচ্ছা, নিজের হাতে আস্ত প্লেন বানালেন কেরলের যুবক

লন্ডন: ইউরোপ ভ্রমণের শখ অনেক দিনের। গোটা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলির রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবেন এমন স্বপ্নই বছরের পর বছর দেখে এসেছেন কেরলের বাসিন্দা অশোক। বর্তমানে তিনি যদিও যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাসিন্দা। তবে তারপরেও ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখা কিন্তু ছাড়েননি অশোক। আর তাই দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বছর ৩৮-এর এই ইঞ্জিনিয়ার যুবক বানিয়েছেন আস্ত একটা চার আসনের বিমান। সেই বিমানে করেই এবার স্বপরিবারে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে অশোকের পরিবার।

 ৩৮ বছর বয়সী অশোক থামারক্ষণ পেশায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৬ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডণের একটি সংস্থায় কর্মরত। অশোকের পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার। স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে দুই মেয়ে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এই অশোকই সম্প্রতি ১.৮ কোটি টাকা খরচ করে একটি চার আসনের বিমান বানিয়েছেন বলে খবর। সম্প্রতি এই খবরই প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় একটি সংবাদপত্রে। আর তারপরেই দেশ তো বটেই বিদেশেও অশোককে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই অশোক তাঁর স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের হাতের তৈরি বিমানে চেপে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের দেশগুলির ভ্রমণ করা শুরু করছেন।

অশোকের স্ত্রী অভিলাষা জানিয়েছেন, লকডাউন শুরুর পর থেকেই সময় এবং অর্থ সঞ্চয় করা শুরু করে এই দম্পতি। পরে সেটাই কাজে লাগিয়ে বানানো হয়েছে এই প্লেন। তিনি আরো জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই অশোকের নিজের হাতে তৈরি বিমানে চেপে তাঁরা স্বপরিবারে জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং চেক রিপাবলিক ঘুরে এসেছেন। ছোট মেয়ে দিয়ার নামানুসারে অশোক বিমানটির নাম রেখেছেন ‘জি-দিয়া’।

জানা যাচ্ছে অশোকের বাবা কেরলের প্রাক্তন বিধায়ক। এই বিমান তৈরি করার আগে ২০১৮ সালে অশোক দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানাসবার্গে বিমান তৈরীর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এমনকি বিমানটি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও সেখান থেকেই তিনি অর্ডার করেছিলেন। তারপর সেই সমস্ত জিনিস একত্রিত করে লকডাউনের সময়ে কেরলের নিজের বাড়ির গ্যারেজে শুরু করেন এই চার আসনের বিশেষ বিমান তৈরির কাজ। দীর্ঘ 18 মাস ধরে তৈরি হয় এই বিমান এবং শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিমানটি প্রথম আকাশে ওড়ে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *