নয়াদিল্লি: গত দুদিনের তুলনায় আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েছে। তবে এর জন্য ‘দায়ী’ কেরল রাজ্য কারণ দেশের অধিকাংশ আক্রান্ত এবং মৃত্যুর মধ্যে সিংহভাগ এই রাজ্যের। আজ ১১ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে দৈনিক আক্রান্ত। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে অনেকটা। একদিনে হঠাৎ অনেকটা মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে! তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯১৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫১৭ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৭০ জনের। এই নিয়ে মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ২৪২ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৩২ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৬২ জন, যা ২০২০ সালের মার্চের পর সবচেয়ে কম। দেশের মোট সুস্থতার হার ৫.৪৯ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ০.৯৭ শতাংশ।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১১৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৫১ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৭৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৩৯ ডোজ। তবে কেরলের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। সেই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮৮ জনের! দেশের মৃত্যুর সিংহভাগ। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ছাড়া বাকি সব রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ১০-এর কম। যদিও বিশেষজ্ঞদের এক নয়া দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এত দিনে আদতে কতজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যু ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসছে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সরকারি রিপোর্ট করোনাভাইরাস মৃত্যু নিয়ে যা বলছে তা সঠিক নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাস সংক্রমণে।