যাদগীর: শত চেষ্টার পরেও বিবাহ বিচ্ছেদের সায় দেননি স্ত্রী। বহু ঝামেলা, অশান্তির পরেও বিয়ে না ভাঙার সিদ্ধান্তেই অটল তিনি। আর তাতেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পুড়িয়ে মারল স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি কর্নাটকের যাদগীর জেলার বাসিন্দা এক ব্যক্তি তার স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক এবং দুই আত্মীয়সহ মোট পাঁচজনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলেও বাকিরা গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় শ্বশুর এবং শ্যালকের শরীরের ৮০ শতাংশ অংশ সম্পূর্ণ পড়ে গিয়েছে এবং তাদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম শরণাপ্পা। ১৬ বছর আগে শরণাপার সঙ্গে নারায়নপুরের বাসিন্দা হুলিজেম্মার বিবাহ হয়েছিল। এই দম্পতির দুই সন্তান। কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত হওয়ায় হুলিজেম্মা তার সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রীর কাছে ওই ব্যক্তির ডিভোর্স চাইলে তিনি তাতেও রাজি হননি। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে মিটমাট করাতে হুলিজেম্মার পরিবারের সদস্যরা শরণেপ্পাকে বাড়িতে আলোচনার জন্য ডাকেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার কোন সমাধান না হওয়ায় ওই ব্যক্তি রেগে গিয়ে গোটা বাড়িতে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির ভিতরের সদস্যরা যাতে কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারে তার জন্য সে দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। হুলিজেম্মা এবং তার পরিবারের সদস্যদের চিৎকার শুনে তাদের প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন এবং পুলিশে খবর দেন।